বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের জেরে মুজিব কন্যা তথা বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতাচুত্য হওয়ার পরেই তাঁর জায়গায় আসেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ডক্টর মহম্মদ ইউনুস। ইউনুসের হাতে দেশের শাসনভার আসার পরেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারত – বিরোধিতা চরমে পৌঁছায়। ইউনুস বরাবরই ভারত – বিরোধী একটি মানুষ। ক্ষমতায় আসার পরই তিনি লাগাতার একের পর এক ভারত বিরোধী কথাবার্তা ও কার্যকলাপ করে গেছেন। স্বাভাবিকভাবেই ভারত – বিরোধী একজন ক্ষমতার মসনদে বসার পরেই দেশের অভ্যন্তরের ভারত – বিরোধীরা হাফ ছেড়ে জোরে শ্বাস নেয়। কিন্তু এতকিছুর মাঝেও গত তিন দিন যাবৎ বাংলাদেশ অত্যাধিক পরিমান বাড়াবাড়ির সাথে ভারত – বিরোধিতার খেলায় মেতে উঠেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের ভারত – বিরোধী ছাত্র নেতা তথা ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেই তাদের বাড়াবাড়ির সীমা মাত্রা ছড়া হয়ে ওঠে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে ন্যারেটিভ তৈরী করার চেষ্টা করে বাংলাদেশ সরাসরি দাবি করে, ওসমান হাদিকে গুলি করিয়েছে ভারত। এই দাবির প্রেক্ষিতে কোনও যুক্তি ও তথ্য প্রমান তারা দিতে পারেনি ভারত ও আন্তর্জাতিক স্তরে।
এই আবহে এনসিপি ছাত্র নেতা হাসনাত আব্দুল্লা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে বলেন, ভারতের সবচেয়ে স্পর্শকাতর এলাকা সেভেন সিস্টার্স ভাঙার জন্য ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তিনি সাহায্য করবেন। একইদিনে জুলাই ঐক্য রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে। ডাকসুর সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ হুমকি দিয়ে বলেন, পরেরবার ভারতীয় হাই কমিশনের একটা ইট আস্ত রাখা হবে না।
এরপরেই পাল্টা জবাব দিল নয়া দিল্লি। এই কথার যুক্তি চেয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব করে। শেষ এক বছরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব করা হল। এরপর ভারতের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠী ভারতীয় হাই কমিশনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার সংকট তৈরির পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের কয়েকটি গোষ্ঠী যে মিথ্যে নেরেটিভ তৈরী করার চেষ্টা করছে ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভারত বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক, সুষ্ঠ ও অবাধ নির্বাচন চায়। বাংলাদেশের সরকার যদি এই ধরণের অভিযানকে প্রশ্রয় দেয় তাহলে ভারতের তরফে আগ্রাসী ভূমিকা নেওয়া হবে। স্বাধীনতা থেকে ভারতের সাথে বাংলাদেশের যে সম্পর্ক ছিল বর্তমানে শান্তি যেভাবে নষ্ট করা হচ্ছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ভারত এ থেকে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছে, আর কোনও ছাড় নয়, আর কোনও সহ্য নয়। এতদিন ভারত সহ্য করে কোনও পদক্ষেপ না নিলেও আর নয়। এবার বাংলাদেশ – ভারতের বিপক্ষে বললে এবার পাল্টা দেবে ভারত।
বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তানের হাই কমিশন অফিস ঘেরাও করা হয়নি। কিন্তু ঠিকই ভারতের হাই কমিশনের অফিস দক্ষতার সাথে ঘেরাও করা হয়েছে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা ব্যর্থতা ঢাকতে ভারত – বিরোধী জিগির তোলার জন্যই এগুলি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে। ভারতের দিকে সবটা ঘুরিয়ে দিয়ে সবকিছুর জন্য দায়ী করা হবে ভারতকে। ভারত বাংলাদশের জন্য খারাপ একটি রাষ্ট্র এগুলি প্রমান করানোর চেষ্টা করছেন পাকিস্তান প্রেমী মহম্মদ ইউনুস। এইসব করে বাংলাদেশের নির্বাচনকে পিছতে চাইছে মহম্মদ ইউনুস। আর ইউনুসের এই ফন্দি খুব সহজেই ধরে ফেলেছে ভারত। ঘুগু বারবার ধান খেয়ে গেলেও ঘুগু ধান খেতে আর পারল না। ভারত – বিরোধিতা করতে করতে ইউনুস খাদের কিনারে চলে গেছেন এবার যে কোনও সময় তার পরে যাওয়ার পালা।












Discussion about this post