পদ্মাপারে কে যেন বেশ বলেছিল ‘ভারতে যারা সেপারেটিস্ট আছে, বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে যে সেভেন সিস্টার্স রয়েছে, সেটাকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’ এখানেই শেষ নয়। সে এও বলেছিল ‘খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতীয় হাইকমিশনারকে শুধু ধমক না, লাথি দিয়ে বের করে দেওয়া উচিত ছিল।’ তার জন্য যে জবাব তাদের দেওয়ার দরকার, সাউথব্লক থেকে সেই জবাব দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবার পরবর্তী জবাবের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হবে। কেমন হবে সেই জবাব, সেটা অবশ্যই আমাদের দর্শক এবং পাঠকদের জানিয়ে দেওয়া হবে।
সব কিছুর ক্ষেত্রে একটা সলতে পাকানোর পর্ব থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সাউথব্লকে এখন চলছে সেই সলতে পাকানোর পর্ব। সূত্রের খবর, হাদির ঘটনায় প্রতিবাদে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি এবং হাইকমিশনারের উদ্দেশ্যে হাসনাতের হুমকিকে দিল্লি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না। সাউথব্লকের মতে, ঢাকার তরফে যাবতীয় শিষ্টাচার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সে দেশের সরকার অবৈধ ঠিকই। কিন্তু ক্ষমতার রাশ যখন ইউনূসের হাতে, তখন একজন দায়িত্বশীল সরকারের প্রধান হওয়ার দৌলতে তাঁর যে কর্তব্য পালন করার কথা ছিল, সেই কর্তব্য তিনি পালন তো করেননি। উল্টে তাঁর গলার সুর ছিল ওই সব ভারত-বিদ্বেষী নেতাদের মতো। তাঁর গলাতেও শোনা যায় সেভেন সিস্টার্স দখলের হুমকি।
আর তাঁর কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে হাসনাত, সারজিসরা ওই সেভেন সিস্টার্স দখল করার হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে নানা অসম্মানজনক কথা বলে এসেছে। শুরুতে যে হুমকি তুলে ধরা হয়েছে, সেটা হাসনাতের। ভারত কিন্তু এতোদিন ধরে সংযম দেখিয়ে এসেছে। দিল্লি থেকে ঢাকাকে একাধিকবার সতর্ক করে দেওয়া হয়। ভদ্র আচরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয়, একটি প্রতিবেশী দেশের যে ভূমিকা পালন করার কথা, বাংলাদেশ যেন সেই ভূমিকা পালন করে। ঢাকা সেটা করেনি। আর হাদিকে নিয়ে পদ্মাপারে যা হল, সেটা কার্যত দিল্লির সব সহ্যসীমা বাইরে চলে গিয়েছে। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং অজিত ডোভাল জরুরী বৈঠক ডাকেন।
দুটি বৈঠক হয়েছে আলাদা আলাদাভাবে। প্রধানমন্ত্রী মোদির ডাকা বৈঠকে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সিডিএস। আর ‘জেমস বন্ড’ বৈঠক করেন বিএসএফ, এনআই এবং ‘র’-য়ের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আপাতত সব ভিসা সেন্টার বন্ধ রাখা হবে। আর জেমস বন্ডের বৈঠকে স্থির হয়েছে বাংলাদেশে হাইকমিশনার এবং সব ডেপুটি হাইকমিশনাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে। পরিস্থিতি যদি এরকম দাঁড়ায় যে হাইকমিশনার এবং ডেপুটি হাইকমিশনারদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গিয়েছে, তাহলে দ্রুত সেখান থেকে তাদের হেলিকপ্টারে করে ভারতে উড়িয়ে নিয়ে আসা হবে। সীমান্তে তাই স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে ১২টি হেলিকপ্টার। মোতায়েন রাখা হয়েছে কম্যান্ডোদের। তাদের হাতে রয়েছে Barrett – M-82।
এটা একটি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র। ট্রিগারে হাত পড়লেই এর নল থেকে এক সেকেন্ডে ২৭২টি গুলি বেরিয়ে যাবে। এই বন্দুক তৈরি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ব্যারেট ফায়ারআর্মস ম্যানুফ্যাকচারিং’। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা রুনি ব্যারেট। এই অস্ত্রের ব্যবহার করা হয় সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে, উপসাগরীয় যুদ্ধে, কসোভো যুদ্ধে, অশান্ত আফগানিস্তানে, ইরাক যুদ্ধে। এখন রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধেও এই অস্ত্রের ব্যবহার চলছে।
প্রশ্ন উঠছে, এতো কিছুর পরেও ভারত কেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে যাচ্ছে না? উত্তর খুব সহজ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করলে বিশ্বে ভারতের বদনাম হবে। দরকার একটি মোক্ষম সময়ের, যে সময়কে হাতিয়ার করে সেনাভবন থেকে শব্দের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলে যাবে একটাই নির্দেশ – স্ট্রাইক।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post