হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে বাংলাদেশের হিন্দুদের জীবন বিপন্ন। অন্তরবর্তী সরকারের শাসনকালে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের যে ভিডিও সামনে এসেছিলো সেগুলিকে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার বলেই উল্লেখ করছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকার এক দূর্গা মন্দির হামলার ঘটনা আবারও প্রমান করলো বাংলাদেশে অন্তরবর্তী সরকারের মদতে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও হামলা চলছিল এবং বর্তমানেও তা অব্যহত। সেনার উপস্থিতি সত্ত্বেও কট্টরপন্থীদের এই হামলা।
২৪ শে জুন ঢাকায় অবস্থিত ওই দূর্গা মন্দির ভাঙার চরম সতর্কটা দিয়েছিলো কট্টর পন্থীরা। এমনই অভিযোগ সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের। বাংলাদেশ সেনার তরফে জানানো হয় তারা এই মন্দিরটি অপসারণের নির্দেশ পেয়েছে সরকারের তরফে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী সতর্ক করে বলেন এই মন্দির টি যদি অপসারণ না করা হয়, এবং ভবিষ্যতে যদি কোনও হামলা চলে তবে তাতে হস্তক্ষেপ করবেনা সেনাবাহিনী। স্থানীয় হিন্দুদের এই ঘটনার ভিডিও করতেও বাঁধা প্রদান করে সেনা। মন্দির হামলার পরিস্থিতিতে সেনার এই বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এই পরিস্থিতি সম্পর্কে কি অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের শুনুন,,,
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও মন্দির কমিটির সদস্যরা জানান,সোমবার হঠাৎ একদল মুসলিম যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করে। তারা মন্দিরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং উপস্থিত ব্যক্তিদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। মন্দিরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে এবং চিৎকার করে বলতে শুরু করে এই মন্দির এখানে থাকতে পারবে না এবং আগামীকাল ১২টার মধ্যে আমরা এই মন্দির ভেঙে ফেলব।
এরপরই কট্টরপন্থীদের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃত্ব রা খিলক্ষেত থানায় যোগাযোগ করলে, থানার মহা পরিদর্শক মোহাম্মদ আশিকুর রহমান জানান, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি, এবং আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাধানের চেষ্টা করছেন।” তিনি বলেন, “কিছু মানুষ সেখানে গিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।পুরো ঘটনাটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, যেন কোনো অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।”
উল্লেখ্য, এই হামলার পর থেকে এলাকার হিন্দুদের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে । স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ এবং মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
Discussion about this post