একদিকে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলছে শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতার বিচার প্রক্রিয়া। অন্যদিকে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ দায়েরের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন সংস্থা ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার। ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে চারটি নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে চলছে প্রস্তুতি। এইবার কি করবেন মহম্মদ ইউনূস? বাংলাদেশের মানুষকে কি জবাব দেবেন? এখন এই ঘটনা সামনে আসার পর তুমুল আলোচনা চলছে বাংলাদেশের অন্দরে।
ডাউটি স্ট্রিট চেম্বার হল ব্রিটেন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থা। যারা মূলত নাগরিক স্বাধীনতা, অভিবাসন নীতি, আন্তর্জাতিক অপরাধ বিষয়ক নিয়ে কাজ করে। এই ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারের উল্লেখযোগ্য সদস্য হলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার। তাদের ১৫ অনুচ্ছেদে যোগাযোগ বাংলাদেশে এই নৃশংসতার শিকার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে সংগৃহীত প্রমাণের উপর ভিত্তি করে করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত খবর, মহম্মদ ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য যে প্রস্তুতি নিচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এই সংস্থার হাতে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলে খবর। এমনকি তারা বিষয়টি ওয়েবসাইটে তুলে ধরেছে। তার মধ্যে সে চারটি সু নির্দিষ্ট অভিযোগ তার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এমনকি তারা নিজস্ব ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষমতা গ্রহণের পর একাধিক সাংবাদিক, পুলিশ কর্মকর্তা, সংখ্যালঘু মানুষ এবং শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অসংখ্য বিনা উস্কানিতে এবং সহিংস আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মব কালচার চলেছে। এই অভিযোগগুলোর জন্য অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার জন্য বাংলাদেশে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। এই হামলার প্রকৃত ইঙ্গিত দেয় যে, এগুলো প্রশাসনিক সর্বোচ্চ স্তরে পরিকল্পিত ছিল। এবং ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার কোর্টে সংবিধি একটি বিশেষ অনুচ্ছেদের অধীনে হত্যা, নিপীড়ন, বাক স্বাধীনতা এগুলি গুরুতর মানবতা বিরোধী অপরাধের সমতুল্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় ২০২৪ সালে নভেম্বরে ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার কোর্টে ইউনূসের বিরুদ্ধে মানবতার বিরোধী অপরাধের দায়ে আরও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। কিন্তু সেটির তুলনায় ডাউটি স্ট্রিট চেম্বারের উদ্যোগ অনেক বেশি গুরুত্ব বহন করে। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ওই মামলা করেছিলেন সাবেক মেয়র আমারুজ্জামান চৌধুরী। কিন্তু এই মামলাটির করেছিলেন একজন ব্যক্তি। কিন্তু যে মামলাটি করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে সেটি আন্তর্জাতিক আইনি সংস্থার তরফে করা হচ্ছে।
অর্থাৎ শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে যে যে অভিযোগগুলো করেছিলেন মহম্মদ ইউনূস, সেগুলি এখন তার দিকে ঘুরে যাচ্ছে। এবার গোটা বাংলাদেশবাসীকে কি জবাব দেবেন তিনি, সেটাই দেখার।
Discussion about this post