৭১ এর স্মৃতি আজও এপার ও ওপার বাংলায় স্পষ্ট। ১৯৭১ এর ১৬ ই ডিসেম্বর পাক সেনাবাহিনী ঢাকায় ভারতের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল। জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ। দীর্ঘ নয় মাস চলেছিল এই বিদ্রোহ। আর চট্টগ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান তথা অবসর প্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদ । এমনকী, যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার সে সময় তাঁকে ‘বীর বিক্রম’খেতাবও দিয়েছিল।
একদা ‘শত্রু’ এখন পাকিস্তান এখন ‘বন্ধু’ হয়েছে বাংলাদেশের।
সেই আবহেই পাকিস্তানের কোনও এক কট্টরপন্থী ধর্মগুরু প্রকাশ্যেই ভারতকে হুমকি দিয়েছিল। এমনকী বাংলাদেশকে পরমাণু বোমা দিয়ে সাহায্য করার বার্তা দিয়েছিল। এবার একই সুর বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদের গলায়।
কখনও কলকাতা দখল, কখন গোটা ভারত দখলের মতো ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবার সরাসরি পরমাণু হুঁশিয়ারি।
‘বন্ধু’ দেশ থেকে পরমাণু বোমা ধার করে এনে ভারতকে পরমাণু হুঁশিয়ারি দিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী অলি আহমেদ। তিনি বললেন, ” বাংলাদেশকে ভারত ব্যবহার করবে, আর আমরা এখানে কলা চুষব? না, এখান থেকেও পরমাণু বোমা লঞ্চ করা হবে।”
এছাড়াও তিনি নিজের মুখেই স্বীকার করে নেন ভারত সাহায্য করেছিল মুক্তিযুদ্ধে সেই কথা। তবে তারপর ভারতের কৃতিত্বকে ছোট করারও চেষ্টাও করেন। আর এই সবের মাঝেই ভারতের ওপর পরমাণু হামলার হুমকিও দিলেন।
উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন সাংসদ এবং বিভিন্ন সময়ে নানান মন্ত্রকের দায়িত্বেও থেকেছেন এই অলি আহমেদ। এখন পাকিস্তানকে ‘বন্ধু’ সম্বোধন করছেন তিনি! শুধু তাই নয়, হুমকি দিচ্ছেন ভারতকে। সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আক্রমণ করতে গিয়ে কদর্য ভাষায় ভারতকে অপমান করে বলছেন, “যে ভারত ১৫ বছর বাংলাদেশকে শুধু ব্যবহার করেছে, সেই ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিল শেখ হাসিনা।” আমাদেরও অনেক বন্ধু রাষ্ট্র আছে, যাদের কাছে নিউক্লিয়ার বম্ব আছে এবং তারা দিতে রাজি আছে। তাঁদের থেকে নিয়েই আমরা হামলা চালাবো।
হাসিনা দেশ ছাড়ার পর থেকেই বদলে গিয়েছে বাংলাদেশের ছবিটা। আর এই পাল্টে যাওয়া বাংলাদেশে পড়ে আছে ভারতের প্রতি বিদ্বেষ ও ঘৃণা। সেই ঘৃণা থেকেই এবার বাংলাদেশের অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্তার নিশানা ভারতকে। পরমাণু নিক্ষেপের হুশিয়ারি। খোদ নরেন্দ্র মোদিকেও নিশানা করতে ছাড়েননি বাংলাদেশের লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন ‘মোদিকে বলব, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করবেন না। আপনাদের অনেকগুলি দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে বাংলাদেশের ওপরে। বাংলাদেশের সঙ্গে পাঙ্গা নিলে এটা ভালো হবে না।’
এবার প্রশ্ন, বাংলাদেশ কি আদৌ পরমাণু ব্যবহারে সক্ষম? এবার আসি সেই বিষয়েই, প্রথমেই জানিয়ে রাখি বাংলাদেশ কিন্তু পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র নয়।একাধিক আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তি রয়েছে। যার অধীনে পরমাণু অস্ত্র উৎপাদন, পরীক্ষা এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চিন, পাকিস্তান,ভারতের মতো দেশগুলির এই চুক্তিতে স্বাক্ষর রয়েছে। তবে কি এবার পাকিস্তানের সাহায্য নিয়ে গোপনে অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করছে বাংলাদেশ? প্রাক্তন কর্নেলের হুমকি কিন্তু তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে।
Discussion about this post