আজকের রাত পাকিস্তানের জন্য একটি কঠিন রাত হতে চলেছে। জায়গায় জায়গায় বসানো হচ্ছে সাইরেন। ঘনঘন বাজছে সেই সাইরেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, এবার পাকিস্তানকে চূড়ান্ত হুঁশিয়ারি দিলেন। পহলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার পর দেশ যেমন চাইবে ঠিক তেমনি অ্যাকশন নেওয়া হবে। এখনও একটা গুলিও চলেনি তাতেই পাকিস্তানে ঘন্টা বাজতে শুরু করে দিয়েছে। পাকিস্তান সেনারা নিজেদের কাজ ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেছে। এমনকি পাক সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির, নিজের পরিবারকে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। এক কথায় ভারত আক্রমণ হানার আগেই ভয়েকাটা পাকিস্তান।পাকিস্তান জুড়ে যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আজ রাতে কি হতে চলেছে সেই আতঙ্কেই ঘুম উড়েছে সেদেশের।
আজকের রাতই পাকিস্তানের জন্য ধ্বংসের রাত। আর এই ধ্বংসের আশঙ্কায় রাতের ঘুম উড়বে পাকিস্তান সরকারের।
ভারত হামলা করতে পারে, এই আশঙ্কা গত সপ্তাহ থেকেই করছে পাকিস্তান। গতবার বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের কথা মাথায় রেখেই তড়িঘড়ি আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। ভারতও পাল্টা জবাবে নিজেদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে পাকিস্তান ভয় পাচ্ছে, যে কোনও মুহূর্তেই আঘাত হানতে পারে ভারত। সেই কারণে তারা সীমান্তে কখনও সেনা বাড়াচ্ছে, কখনও আবার সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। কাশ্মীর হামলার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার হামলা নিয়ে সাধারণ পাকিস্তানিদের সতর্ক করে দিতে ইতিমধ্যই রাওয়ালপিন্ডি-সহ একাধিক শহরে বসানো হয়েছে সাইরেন।
সূত্র বলছে, আজ রাতেই রাওয়ালপিন্ডিতে GHQ এর আলো জ্বলবে। সেই সঙ্গে লাহোর করাচি ও রাওয়ালপিন্ডিতে সাইরেনের শব্দ ভেসে আসবে।
সূত্র বলছে, ইউক্রেনে ব্যাপক হারে বিমান হামলার সময় এভাবেই সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করা হয়েছে সাধারণ মানুষকে। অর্থাৎ, রাশিয়ার যে কোনও বিমান হামলার খবর পাওয়া মাত্রই সাইরেন বেজে ওঠে, যা ইঙ্গিত দেয় যে সেখানে যেই থাকুক না কেন, নিরাপদ জায়গা খুঁজে নেবে।
উল্লেখ্য রাওয়ালপিন্ডি শহরেই রয়েছে পাক সেনার সদর ঘাঁটি। ফলে ভারতীয় সেনাদের হামলার প্রধান লক্ষ্য রাওয়ালপিন্ডি হতে পারে বলে ধরে নিয়েছে পাক প্রশাসন। যে কারণে শহরে ১৬টি সাইরেন বসানো হয়েছে। মূল সাইরেন বসেছে বেসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের কার্যালয়ে। পাশাপাশি ৩৮টি বিশেষ রেসকিউ বা উদ্ধার কেন্দ্রও খোলা হয়েছে।
পাক সরকারের তরফেই খাইবার পাখতুনখাওয়ায় ২৯টি এলাকায় ৫০ টি সাইরেন বসানো হয়েছে। ভারতীয় সেনা যদি এয়ারস্ট্রাইক করে, তাহলে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার জন্য এই সাইরেন বসানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই ধরনের পদক্ষেপ করেছে পাকিস্তান সরকার।
একদিকে দিল্লিতে একের পর এক বৈঠক করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে সেনা প্রস্তুত হচ্ছে যুদ্ধের জন্য। এবার সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রতিরক্ষা সচিব রাজেশ কুমার সিং। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন কুমার সিং বলে খবর। রবিবার সকালে বায়ুসেনা প্রধান অমলপ্রীত সিং এবং বায়ুসেনার অন্য শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পরই প্রতিরক্ষা সচিবের সঙ্গে বৈঠক অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ভারতে সন্ত্রাসী হামলার পর,দুই দেশই একে অন্যের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে। তার পরে প্রায় প্রতি রাতেই কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে পাক সেনার বিরুদ্ধে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনাও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতের তরফে সামরিক পদক্ষেপ করা হতে পারে আশঙ্কা করছে পাকিস্তান। তবে বর্তমানে যেভাবে ভারতীয় সেনা তাতে পাকিস্তানও কি ভবিষ্যতের গাজায় পরিণত হতে চলেছে? যদিও তা সময়ই বলবে। এখন দেখার এই ভয়ংকর রাত কিভাবে অতিবাহিত করে পাকিস্তান।
Discussion about this post