‘রামু হও, দামু হও, ওপাড়ার ঘোষ বোস – যেই হও এইবারে থেমে যাবে ফোঁসফোস। /খাটবে না জারিজুরি, আঁটবে না মারপ্যাঁচ / যারে পাব ঘাঁড়ে ধরে কেটে দেব ঘ্যাঁচঘ্যাঁচ। /এই দেখ ঢাল নিয়ে খাড়া আছি আড়ালে, / এইবারে টের পাবে মুণ্ডুটা বাড়ালে। / রোজ বলি ‘সাবধান’, কানে তবু যায় না ? / ঠ্যালাখানা বুঝবি তো এইবারে আয় না।’
বুলেট একটা মুণ্ডুকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছে। তা নিয়ে উত্তাল পদ্মাপার। বাংলাদেশ বলছে, ওই মুণ্ডুপাতের পিছনে দায়ী ভারত। ভারত থেকে ধড়-মুণ্ডু আলাদ করতে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল। যথারীতি মুণ্ডুপাত করে তারা আবার ভারতে চলে এসেছে। যদিও তাদের দেশের পুলিশ কিন্তু বলছে অন্যকথা। তাদের মতে, এই মুণ্ডুপাতের পিছনে ভারতের কোনও হাত নেই। সেখানকার অধিকাংশ গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সব কিছু হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। এর জন্য বাংলাদেশের একটি হোটেল ভাড়া করা হয়েছিল। ঘটনার আগের দিন রাতে সেই হোটেলের একটি ঘড় ভাড়া করা হয়েছি। যে যার ধড় এবং মুণ্ডু আলাদা করেছে, তাঁর তাঁর বাড়ির লোক এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। কিন্তু ঢাকা সে সব মানতে নারাজ। ঢাকা এক গোঁ ধরে বসে রয়েছে। এবং জোর গলায় বলছে, সব করেছে ভারত। ভারতের তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। কারণ, নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার কোনও অভিলাস ভারতের নেই।
তবে ওই মুণ্ডুপাতের ঘটনায় তদারকি সরকার যে রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই, একসময় যারা স্লোগান তুলে রাজপথ কাঁপিয়ে দিয়েছিল, যাদের গলার আওয়াজ নীল আকাশের বুক চিড়ে দিয়েছিল, বোতামহীন ছেঁড়া শার্টের উল্লাস দেখেছিল, লাল ঐশ্বর্যমঞ্চে যারা জীবনের জয়গান গেয়েছিল, আজ তাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ইউনূস সরকার। জুলাই যোদ্ধা, সমন্বয়ক ও সংসদ সদস্য প্রার্থী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে জুলাই আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী প্রথম সারির কয়েকজনকে গানম্যান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছেন- অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা ও মুখ্য সমন্বয়ক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
এছাড়াও বেশ কয়েকজন নেতা ও সংসদ সদস্যপ্রার্থী গানম্যান ও অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন করেছেন। জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (জেপি) প্রধান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য গানম্যান চেয়েছেন। আবেদনের ভিত্তিতে কয়েকজন রাজনীতিককে গানম্যানসহ অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে শিগগিরই। এদের মধ্যে রয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি, ডেমরা যাত্রাবাড়ি এলাকা থেকে বিএনপি মনোনিত সংসদ সদস্য প্রার্থী তানভির আহমেদ রবিন, পাবনা- ৩ আসনের বিএনপি মনোনিত প্রার্থী জাফির তুহিন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রাক্তন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি কর্নেল (অব) অলি আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন। এছাড়া ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার থাকা ওসামান হাদির পরিবারকেও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। হাদির এক বোন পাচ্ছেন লাইসেন্স এবং গানম্যান। অন্য সদস্যদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের উচ্চপর্যায়ের সূত্র থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। অতিরিক্তি আইজি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, জুলাই যোদ্ধা এবং সংসদ সদস্যপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁরা আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন, তাদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post