সম্প্রতি কোনও রাখঢাক না রেখেই সরাসরি দেশে ফেরার বার্তা দিয়েছিলেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আওয়ামী লিগ কর্মীদের উদ্দেশে ও দলকে উজ্জীবিত করতেই এই কথা বলেছিলেন তিনি। আর এবার শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে তৎপর সেনাবাহিনীও। সেনাপ্রধান তার প্রতিটি বক্তব্যের মধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে দেশে ইনক্লুসিভ এলেকশন করতে উদ্যত। আর ইনক্লুসিভ ইলেকশন এর মাধ্যমে সে দেশের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে আওয়ামী লীগও। তাই বলা যায় যে এবার শেখ হাসিনার দেশে ফেরার পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সম্পূর্ণ সহায়তা করবেন সেনাবাহিনীর প্রধান।
জানা যাচ্ছে, মার্চেই বাংলাদেশে ফিরতে চলেছেন শেখ হাসিনা। আর সেই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই কন্ট্রোল হয়ে যাবে। তবে প্রশ্ন উঠছে শেখ হাসিনা যদি এই আবহে দেশে ফেরেন তবে তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি থাকছে? তবে ভারত যে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেই তাকে দেশে ফেরত পাঠাবে তা বলাই যায়। সেনাবাহিনীর সক্রিয়তার পাশাপাশি দেশের ক্ষমতা অধিকাংশ নিজের হাতে নিতে সক্ষম হয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। আর তার হাতে দেশের ক্ষমতা চলে আসাতে হাসিনার দেশে ফেরার সম্ভাবনা আরো জোড়ালো হচ্ছে।
দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর দল আওয়ামি লিগের শীর্ষনেতৃত্ব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তাঁদের একাংশ ইতিমধ্যে দাবি করেছেন, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে তাঁরা দেশে ফিরতে চান। সেই কারণে বাংলাদেশজুড়ে ১ ফেব্রুয়ারি লিফলেট বিলির মধ্যে দিয়ে একাধিক কর্মসূচি শুরু করেছিল আওয়ামি লিগ। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের একটি প্রথম শ্রেণির দৈনিক দাবি করেছে, কলকাতার ট্যাংরা এলাকায় আওয়ামি লিগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক বসেছিল।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় মাস কেটে গিয়েছে। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। তিনি এখন দেশেও নেই। ভারতের আশ্রয় রয়েছেন। এমনকি বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের দেখাই যায়নি বিগত কয়েক মাস ধরে।প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে আওয়ামী লীগ। অনেকে আবার বলছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। কিন্তু অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ কখনো নিষিদ্ধ হবে না।
এই সরকার দেশ চালিয়েছে বহু বছর। জাতির পিতা হিসেবে যিনি পরিচিত, তিনিই আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলেন এক দশকেরও বেশি। কয়েকটি জঙ্গি সংগঠনের মদতপুষ্টে, ছাত্রদের উসকে, পরিকল্পিত গণঅভ্যুত্থান করা হয়েছে। তাতেই আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনও যুক্তিই নেই।
অন্যদিকে, রাষ্ট্র চালাতে ব্যর্থ মহম্মদ ইউনুস। কারণ তিনি নিজেই বলেছিলেন আমার দেশ চালানোর অভিজ্ঞতা নেই। ওনার অযোগ্যতার ফলে বিচারালয়ে হামলা, গণভবনে হামলা হয়েছে। ৬মাসের ওপর হয়ে গেলেও দেশ জঙ্গিদের হাতে চলে গেছে। এখন শুরু হয়েছে অপারেশন ডেভিল হান্ট। রাজনীতিবিদদের শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন ইউউনুস। ভাল মানুষ সেজে এই কথা বলেছেন তিনি। তবে হাসিনার দাবি ১৫ জুলাই থেকে যারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাল, তাদের বিচার হওয়ার কথা বলেননি ইউনুস।
Discussion about this post