আরাকান আর্মি নিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশকে। পাশাপাশি আরাকান আর্মি যেভাবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সংলগ্ন এলাকায় নিজেদের দাপট দেখাতে শুরু করেছে তাতে চিন্তিত ইউনূস। বলা যায়, বাংলাদেশ বিপদের মুখে। আরাকান আর্মিরা সিতওয়ে বন্দরের দিকে যেমন প্রবেশ করেছে তেমনই পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার দিকেও এগিয়ে চলেছে আরাকান আর্মি।
একদিকে সিতওয়ে বন্দর প্রায় আরাকনদের দখলে। নাফ নদীও হাতের বাইরে চলে গিয়েছে বাংলাদেশের। পার্বত্য অঞ্চলের বেশ কিছু অংশও রাখাইনদের দখলে চলে গিয়েছে। এদিকে রাখাইন আর্মিরা যেভাবে যুদ্ধ শুরু করেছে তাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের গণঅভ্যাত্থানের পর বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে দেশের অভ্যান্তরে। ইতিমধ্যেই আরাকান আর্মিদের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে।
সেই পোস্ট করা ভিডিওতে বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে তারা বোমা বর্ষণ করেছে তারা। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম মানেই চট্টগ্রাম বন্দর তা নয়। মূল যে চট্টগ্রাম বন্দর অঞ্চল, বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে লাগোয়া, তারও পূর্বে বেশ খানিকটা পাহাড়ি অঞ্চল রয়েছে, সেগুলি পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে পড়ে। সেখানে তারা বোমা বর্ষণ করেছে। মায়ানমার আর্মি থেকে যুদ্ধাস্ত্র জোগাচ্ছে আরাকান আর্মি। ফলে দিনে দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী হয়ে উঠছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এটি বুঝেও গিয়েছে বাংলাদেশের তদারকি সরকার। এই কারণে এই আরাকান আর্মিকে ছোট করে দেখছে না সরকার। বরং কীভাবে তারা মোকাবিলা করবেন, সেই নিয়েই আলোচনার পর আলোচনা চলছে। এদিকে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলি হাসিনাকে সাপোর্ট করাতে ঘুম উড়েছে ইউনূসের। আন্তর্জাতিক স্তরেও হাসিনা তার দেশকে যেভাবে উত্থাপিত করেছেন, তাতে তিনি একজন শক্তিশালী নেত্রী হিসাবে স্বীকৃত পেয়েছিলেন। এইবার সামনে এল শেখ হাসিনার উপর রয়েছে শক্তিশালী চার রাষ্ট্রের সমর্থন।
ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন। বিশ্ব রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প, নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং সি জিং পিং হল এক একটি শক্তি। আন্তজার্তিক কূটনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় রচনা করেছে এই চার রাষ্ট্র প্রধান। শেখ হাসিনার প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে। ট্রাম্পের কৌশলী নেতৃত্ব, মোদির কৌশলগত বন্ধুত্ব, সি জিং পিং-এর উন্নয়নমূলক সহযোগিতা এবং পুতিনের শক্তিশালী রাজনৈতিক অবস্থান শেখ হাসিনার ফিরে আসার সম্ভাবনাকে আরও শক্তিশালী করেছে।
অনেকেই বলছেন, শেখ হাসিনা তার দেশে ফের ফিরে আসবেন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা নিয়ে। আবারও তিনি বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবেন। শুধুমাত্র বাংলাদেশে অভ্যান্তরে বিশৃঙ্খলা নয়, দেশের একটি বিরাট অংশ আরাকান আর্মির হাতে দখলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। চট্টগ্রাম নিয়ে আশঙ্কায় রয়েছেন ইউনূস। যা লাগাম টানতে তিনি ব্যর্থ হবেন। সেই জায়গায় শেখ হাসিনাই একমাত্র ভরসা বাংলাদেশের, মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এখন জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের তদারকি সরকার এখন প্রবল চাপে। এরমধ্যে যদি হাসিনার প্রত্যপর্ন হয়, তবে ইউনূস যে আর চাপে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post