কার্যত গৃহযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ। জাতীয় নাগরিক পার্টির অন্যতম নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ সম্প্রতি আর ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন সেনাবাহিনীর তরফে নাকি তাকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাকে বলা হয়েছে আওয়ামীলীগ নতুন করে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আসছে এবং এটা তাদের মেনে নিতে হবে। হাসপাত এর কথায় এটা রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ। তারই ফেসবুক পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল সেনাবাহিনী কেন রাজনীতিতে মাথা গলাবে এই প্রশ্নটিই তুলে ধরা। অনেকেই মনে করছেন পরিকল্পনা মাফিক হাসনাত এই ফেসবুক পোস্টটি করেছেন, যা কার্যত বাংলাদেশে এক অযাচিত গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখন প্রশ্ন হল এই পরিকল্পনার পিছনে কে বা কারা আছেন, যারা বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে কলঙ্কিত করে নিজেদের ফায়দা লুটতে চাইছেন। আমরা দেখেছি বিদেশ থেকে বেশ কয়েকজন প্রতিনিয়ত নানান নির্দেশ উপদেশ দিয়ে চলেছেন এই ছাত্র নেতাদের। কখনো ধানমন্ডির ৩২ নম্বর ভাঙ্গার নির্দেশ, কখনও রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে আমার নির্দেশ। এখন যেমন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই যে সেনাবাহিনীর কোনও এক কর্মকর্তা হাসপাতদের নাকি বলেছেন নতুনরূপে আওয়ামী লীগ ফিরবে সেটা নাকি ভারতের চক্রান্ত। এই কথাও কৌশলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এখানেই প্রশ্ন উঠছে সেনাবাহিনীর কি এখতিয়ার আছে এই ধরনের কথা বলার? নাকি পুরোটাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় টা যদি হয়, তাহলে সেটা কিন্তু এক গুরুতর অপরাধ। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলাই যায়। হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট মন দিয়ে পড়লে বোঝাই যাবে তিনি এক জায়গায় লিখেছেন, ওই সেনাকর্তা তাকে নাকি ধমকে সুরে বলেছেন আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম। রাজনৈতিক মহল বিশেষ করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন বা জাতীয় নাগরিক পার্টি এই কথা সূত্র ধরেই বলছে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ফিরলে, পিছন পিছন শেখ হাসিনাও বাংলাদেশের ঢুকে পড়বেন। তাই তারা যে কোন মূল্যে আওয়ামী লীগকে ঠেকাতে মরিয়া।
হাসনাতদের বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার সেনা প্রধান আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া। ছাত্র নেতারা হোক বা বিদেশে থাকা তাদের দোসররা একইসঙ্গে দাবি করছেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে চাপ দিচ্ছে ভারত। নয়া দিল্লির নির্দেশেই কাজ করছেন সেনাপ্রধান। কোনও দেশের সেনাবাহিনী বা সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ খুবই কদর্য। এতে সেই দেশের সেনাবাহিনীর আত্মমর্যাদা ক্ষুন্ন হয়। এই সামান্য ব্যাপারটা বোঝার মত শিক্ষা ও বুদ্ধি দুটোই আছে হাসনাতদের। তারপরও তারা যখন এ কথা বলছেন তখন বুঝতে হবে এটা একটা চক্রান্ত। তবে সেনাবাহিনী যে তৎপরতা শুরু করেছে তাতে পরিষ্কার খুব শিগগিরই ব্যাগ গোছাতে হবে মোহাম্মদ ইউনুস ও তার দোসর এই ছাত্র নেতাদের।
Discussion about this post