বাংলাদেশের রাজনীতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দিকে মোর নিচ্ছে। কখনও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের বিরুদ্ধে চক্রান্তের খবর, আবার কখনও সেই সেনাপ্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। এদিকে আবার রব উঠছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে। সবমিলিয়ে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ফেসবুকে একটু পোস্ট করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। এই পোস্টটি করার পর তিনি লেখেন, এরপর আমার কি হবে আমি জানি না।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুকে লেখেন, রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ নামে বাংলাদেশে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র চলছে। এটা করছে ভারত। শিরিন শারমিন, সাবের হোসেন চৌধুরী… এদের সামনে রেখে চলছে চক্রান্ত। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমি সহ আরও দুইজনের কাছে ক্যান্টনমেন্ট থেকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০এ। আমাদেরকে প্রস্তাব দেওয়া হয় আসন সমঝোতার বিনিময়ে আমরা যেন এই প্রস্তাব মেনে নিই। আমাদেরকে বলা হয়- ইতোমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক দলকেও এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে।
আসুন, আমরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারলে জুলাই ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত আমাদের শহীদদের রক্ত আমরা বৃথা হতে দিবো না। ৫ আগস্টের পরের বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কামব্যাকের আর কোন সুযোগ নাই বরং আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ হতেই হবে’। অর্থাৎ তার ফেসবুক পোষ্টের সারমর্ম হল, আওযায়ী লীগকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। কিন্তু সেটা কোনওভাবেই হতে দেবে না হাসনাত রা। এমনকি আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ না হলে জুলাই আন্দোলন ব্যর্থ হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তারা। শুধু তাই নয়, সেনানিবাস থেকে তাদের উপর বহু রকম চাপ এসেছিল জুলাই আন্দোলনের সময়। কিন্তু তাতে নতি স্বীকার করেনি হাসনাত, সার্জিসরা। আর এই পোষ্টের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে কোনভাবেই অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। ফলে নির্বাচনের আগে বাংলাদেশ তৈরি হবে অশান্তির পরিবেশ। তা আগে থেকেই আঁচ করা যাচ্ছে।
Discussion about this post