ভয়ংকর রক্তপাতের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। নতুন করে রক্তাক্ত অধ্যায়ের সূচনা করা হচ্ছে সেদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। সম্প্রতি গাজীপুরে,জাতীয় নাগরিক পার্টি বা এনসিপির শীর্ষ নেতা আব্দুল্লার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঠিক কী কারণে এই হামলা, সবটাই কি রাজনৈতিক ক্রোধ নাকি পরিকল্পনা? এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বাংলাদেশের গাজীপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এতে অন্তত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৫৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। ৫ মে সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হক জানান, এ ঘটনায় মামলা চলমান।
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী বলে পুলিশের দাবি।
জানা গেছে, হাসনাত আবদুল্লাহর উপর হামলার পর রোববার রাত থেকেই থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।
এর আগে রবিবার রাতে দুইজনকে আটক করে পুলিশ। একজন গাজীপুর মহানগরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মো. নিজাম উদ্দিন এবং অপরজন,কাশিমপুর থানা শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মাসুম আহসেদ দিপু।
পুলিশ জানায়, রবিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তার কাছে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। গাড়ি চালকের বক্তব্য অনুযায়ী , পেছন থেকে মোটরসাইকেল যোগে দুর্বৃত্তরা এসে এই হামলা চালায়। হামলায় গাড়ির কাজ ভেঙে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ ঘটনার পরপরই জড়িতদের আটকে শুরু হয় ব্যাপক অভিযান। অভিযান চালিয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৫৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদ হাসান বলেন, হাসনাত আবদুল্লাহর গাড়িতে হামলার ঘটনায় বেশ কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান অব্যহত আছে। আটকরা প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।
পাশাপাশি,এনসিপির তরফে দাবি এই বর্বর হামলা আওয়ামী লীগের মদতপুষ্ট। তারা মনে করে, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ এতে জড়িত। রাষ্ট্র যদি হামলাকারীদের আড়াল করা হয়, তবে রাজপথেই তার জবাব দেবে জাতীয় নাগরিক পার্টি। অর্থাৎ তাদের দাবি দুর্বৃত্ত কারী ব্যক্তিরা পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা তার গাড়ির গতিরোধ করে ইট-পাটকেল ছুড়ে গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে এবং তার ওপর চড়াও হয়। এতে হাসনাত আব্দুল্লাহর ডান হাতে রক্তাক্ত জখম হয়। অর্থাৎ এই ঘটনায় সরাসরি নিশানা করা হচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের। আবার বিরোধীদল গুলির তরফে দাবি করা হচ্ছে সবটাই সাজানো একটি পরিকল্পনা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ঘটনার পর পদ্মা পাড়ের রাজনীতির অন্তরে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা।
Discussion about this post