ভারত পাকিস্তান সংঘর্ষের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকের মজা করে বলছিলেন, যেভাবে মুহাম্মদ ইউনুস ভারত বিরোধিতা করছেন, তাদের দু একটা মিসাইল বাংলাদেশেও ফেলে দেওয়া উচিত। আর সেই কথাটাই বোধহয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুনে নিয়েছেন। এবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারত বর্ষ। পরপর দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে। আর তাতেই চপে পড়বেন ইউনুস।
সম্প্রতি চীনে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তারাই সমুদ্রের অভিভাবক। ভারতের সাতটি রাজ্য ল্যান্ড লক। এরপর দেখা গিয়েছিল, ভারতের সাতটি রাজ্য থেকে যে সমস্ত জিনিসগুলি বাংলাদেশে যেত সেগুলির ওপর প্রচুর পরিমাণে ট্যাক্স চাপিয়ে দিলেও বাংলাদেশ সরকার। ফলে ব্যবসাতে লোকসান হতে শুরু করে। অন্যদিকে ভারতের তরফে এবার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোন পণ্য আর ভারতে ঢুকবে না। দুটো জায়গা দিয়ে ঢুকবে, সেটি হল কলকাতা পোর্ট এবং আরেকটি মুম্বাইয়ের পোর্ট। যে সমস্ত পণ্য যেমন বস্ত্র, প্লাস্টিক, উডেন ফার্নিচার, ফুড আইটেম সমস্ত কিছু আদা বন্ধ ভারতে। ১১ টি জায়গা দিয়ে ভারতের সাতটি রাজ্যে প্রবেশ করত বাংলাদেশি পণ্য। সেগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল ভারতের তরফে। শুধু তাই নয়, ভারত সরকারের তরফে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেটা হল, বাংলাদেশকে এড়িয়ে কলকাতা থেকে উত্তর পূর্বে একটি নতুন পথ বানাচ্ছে। এই পথটি অবশ্যই মায়ানমারে থেকে রাখাইন বন্দর দিয়ে যাবে। মায়ানমারে জুন্টা সরকার প্রায় ধ্বসে যাচ্ছে। আরাকান আর্মী ক্ষমতায় আসছে। এবার ভারত মায়ানমারের সঙ্গে কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট প্রকল্প করবে। যেটা বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে হবে। কলকাতা থেকে মায়ানমারের সিটে বন্দরের যোগাযোগ হবে। এবং কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, চিকনস নেক হয়ে শিলং, শিলচর, আইজল তারপর মায়ানমারের কয়েকটি জায়গা থেকে সিট এ হয়ে কলকাতা পর্যন্ত যোগাযোগ করা হবে। খরচ হবে ২২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা। ১৬৭ কিলোমিটার রাস্তা যেটি চার লেনের সড়ক তৈরি হচ্ছে। ভারত বিরোধিতার পরিনাম কি এবার বুঝতে পারবেন মোহাম্মদ ইউনূস। এখন দেখার, শেষমেশ বাংলাদেশকে কিভাবে বাঁচান মোহাম্মদ ইউনুস।
Discussion about this post