শক্তি হারাতে চলেছেন মহম্মদ ইউনুস!
ইরান ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একের পর এক বিতর্কিত ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। আর সেই আবহে চীন সফরে গেলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। আর ইতিমধ্যে বিভিন্ন মাধ্যমে এই সফর সংক্রান্ত বিভিন্ন খবর প্রকাশ্যে এসেছেন কিন্তু সফল সংক্রান্ত এমন কিছু বিষয় যেগুলি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই সফরে অজিত ডোভালকে যেভাবে আশ্বাস দিলো চীন সেটি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের জন্য বেশ কিছু দুঃসংবাদ বহন করবে ভবিষ্যতে।
সূত্র বলছে,এই সফরে পৌঁছে অজিত ডোভাল একাধিক বিষয়ে কথা বলেন। তার মধ্যে অন্যতম তিনি কাউন্টার টেরোরিজম নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি একটি বিবৃতি দেন এবং সেখানে বর্তমানে ভারতের যা অবস্থান সেটি স্পষ্ট করেন। বিশ্লেষকরা বলছেন চীন নিরাপত্তা সংক্রান্ত যত বৈঠকই ভারতের সঙ্গে করুক না কেন। চীন অস্ত্র প্রদান করবে পাকিস্তানকে। অর্থাৎ পাকিস্তানকে সহায়তা করে দীর্ঘদিন ধরে চীন ভারত বিরোধীতায় লিপ্ত হয়ে রয়েছে। কিন্তু ভারত এটাও জানে ভারত যদি চীনের সঙ্গে যথাযথ সহাবস্থান তৈরি না করে তবে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতে থাবা বসানোর চেষ্টা করতে পারে আমেরিকা। এছাড়াও পুতিন চায় ভারত ও চীন একত্রিত হয়ে কাজ করুক অর্থাৎ ব্রিকস কান্ট্রি গুলি একত্রিত থাকুক। তবেই আমেরিকার কর্তৃত্ব লাঘব করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য,সোমবার বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সাথে বৈঠকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সকল ধরণের সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য উভয় পক্ষের পদক্ষেপের একটি অংশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অজিত ডোভাল ওয়াংয়ের সাথে ভারত-চীন সম্পর্কের সাম্প্রতিক উন্নয়ন পর্যালোচনা করেছেন এবং উভয় পক্ষই জনগণের মধ্যে বৃহত্তর সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে সম্পর্কের সামগ্রিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
পাশাপাশি ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পরেই চীনের তরফ থেকে জানানো হয়, ওয়াং এবং ডোভাল পারস্পরিক স্বার্থের অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এছাড়াও চীনা এক রাষ্ট্রদূত একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট উল্লেখ করেন, ওয়াং বলেছেন যে চীন-ভারত সম্পর্ক ইতিবাচক অগ্রগতি করেছে এবং উভয় পক্ষের যোগাযোগ বৃদ্ধি করা, পারস্পরিক বিশ্বাস তৈরি করা এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করা উচিত।
তিনি আরো উল্লেখ করেন,”ড্রাগন এবং হাতি থাক বিশ্বের দুই শক্তিশালী দেশ যখন একসাথে নাচে, তখনই কেবল উভয় পক্ষের জন্য লাভজনক ফলাফল হতে পারে। চীন এবং ভারতের উচিত সংবেদনশীল বিষয়গুলি সঠিকভাবে পরিচালনা করা এবং সীমান্ত অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা,”
অর্থাৎ এখন চীন কিছুটা উপলব্ধি করতে পেরেছে ভারতের সঙ্গে এই সম্পর্ক বজায় রাখা এবং চীনের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সখ্যতা হ্রাস করতে হবে। কারণ ভোর রাজনীতিতে চীন যেভাবে চাপে পড়ছে সেখানে ভারতকে পাশে পেলে চীন কিছুটা শক্তি সঞ্চয় করতে পারবে আন্তর্জাতিক স্তরে। অর্থাৎ সম্প্রতি আমেরিকা সফরে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আছে মনের কে অর্থাৎ বলা যায় আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের অবস্থান কিছুটা দৃঢ় হলেও বাংলাদেশের কোন ভূমিকাই থাকছে না আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে। যার ফলে বাংলাদেশকে বিরত রেখে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীন এমনটাই মনে করা হচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহলের তরফে। বাংলাদেশকে শক্তি যোগানো চীন যখন বাংলাদেশকে তাদের পরিকল্পনার বাইরে রাখছে তখন সে সিদ্ধান্ত বেশ চাপে ফেলেছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস কে।
প্রসঙ্গত, বেইজিংয়ে আসন্ন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার বা এসসিও নিরাপত্তা পরিষদের সচিবদের বৈঠকে যোগ দিতে অজিত ডোভাল চীনে রয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা প্রবল মনে করা হচ্ছে।
Discussion about this post