ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে। অবনতির দিকে যখন যাচ্ছে, তখন নানা খবর সামনে আসছে। ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে কার লাভ কার ক্ষতি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে পাকিস্তান। শুধু তাই নয়, ভারতকে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করছে, যদি ভারত বাংলাদেশের উপর কোনও পদক্ষেপ করে, তবে পাকিস্তানের মিসাইল নাকি ভারতকে জবাব দেবে। অনেকে বলছেন, দুই দেশের সম্পর্কের অবনতিতে অনেকটাই দায়ী পাকিস্তান। পাকিস্তানপন্থী চিন্তা ধারা। তবে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, তাতে কি যুদ্ধের প্রস্তুতিতে দুই দেশ?
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির মূল কারণটা ঠিক কি? এই নিয়ে কাটাছেঁড়া চলছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা নানা মত ব্যক্ত করছেন। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য বিষয় হল, শেখ হাসিনার নির্বাসন, ওসমান হাদির হত্যা, হিন্দুদের গণ পিটুনি….বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের উত্তেজনার কারণ ব্যাখ্যা এভাবেই করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশী ছাত্র নেতার মৃত্যু ও এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার পর সহিংসতার মধ্যে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর মিশনের বাইরে বিক্ষোভের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। যা উভয় দেশের নিরাপত্তার উদ্বেগ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত আশ্রয় দিয়েছে। এমনকি হাসিনার বিচার ঘোষণার পরও ভারত ফেরত দেয়নি বাংলাদেশের হাতে। এটা থেকে ভারতের উপর ক্ষোভ তাদের। উভয় দেশই একে অপর দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।
এমনকি অস্থিরতা পরিস্থিতির জন্য ভিসা সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ঢাকার গুলশান এলাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে মিছিল করতে যাওয়া এক দল বিক্ষোভকারীকে ঢাকা পুলিশ থামিয়ে দিলেও দিপু চন্দ্র দাস নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পটভূমিতে প্রতিবেশী বাংলাদেশী হিন্দুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি সংগঠন ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে।
এখানেই শেষ নয়, দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির কথা আরও উল্লেখ করা হয়েছে। ১৭ই নভেম্বর ছাত্র নেতৃত্বাধীন মারাত্নক সহিংসতার সঙ্গে বৈঠক জড়িত থাকার জন্য বাংলাদেশের একটি আদালত শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। রায়ের পর ভারত প্রতিক্রিয়াও দেয়। ভারত বলে, ভারত বাংলাদেশের শান্তি, গণতন্ত্র এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্থিতিশীলতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যনের জন্য দাবি জানায়। ১২ই ডিসেম্বর ছাত্রনেতা ইনক্লাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদীর ঢাকার একটি মসজিদ থেকে বের হতেই আততায় গুলি করে তাকে। ৬ দিন হাসপাতালে লড়াই করে আর শেষ রক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যু ঘটে। এদিকে ১৫ই ডিসেম্বর এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আসা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশ আশ্রয় দেবে এবং ভারতের সেভেন সিস্টার্স ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে। ১৭ই ডিসেম্বর ঢাকার গুলশান এলাকায় ভারতের হাই কমিশনের দিকে একদল মিছিল করা বিক্ষোভকারীকে পুলিশ থামিয়ে দেয়। বিক্ষোভকারীরা আওয়াজ তোলে, শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে হবে। এনসিপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে ভারত বাংলাদেশের হাই কমিশনারকে তলব করে। এমনকি ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের এই সমস্ত পরিস্থিতির দিকে ভারত কড়াভাবে নজর রাখছে। এরমধ্যে পাকিস্তানের এক নেতা বলছেন, বাংলাদেশের দিকে ভারত আগ্রাসী হলে, পাকিস্তান মিসাইল দিয়ে জবাব দেবে। অর্থাৎ পাকিস্তান থেকে উস্কানি আসছে লাগাতার। এখানে কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাকিস্তানের এই অবস্থানকে যদি বাংলাদেশ মনে করে সহযোগিতা, তবে সেটা ভুল করছে। ফলে দুই দেশের পরিস্থিতিত অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পাকিস্তানের লাগাতার উস্কানির সঙ্গে সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির কথা এইভাবেই ব্যাখা করার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন দেখার, আসলে এই পরিস্থিতি স্থিতিশীলতার দিকে যায় নাকি আরও চরম আকার ধারণ করে!
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post