আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতবর্ষের কাছে সব থেকে চিন্তার বিষয় এখন বাংলাদেশ। বর্ষের সাথে বাংলাদেশের বিগত বছরে অনেক নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে বাংলাদেশের সরকার পতনের পর চিন্তার ভাজ পড়েছিল ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সেখানে অন্তর্বর্তী ও সরকার গঠন করা হয়। এই সরকারের গুরু দায়িত্ব পালন করছে বিএনপি, আর বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে বাংলাদেশের বি এন পি রাজনৈতিক দল বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারত বিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার থাকাকালীন ভারতবর্ষের সঙ্গে পদ্মা চুক্তির মত আরো অনেক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এবং হাসিনা সরকারের সাথে ভারতবর্ষের অনেকটাই সুসম্পর্ক ছিল। বাংলাদেশের ২০২৪ সালে যখন নির্বাচন ঘোষণা হয় সেই সময় এই বিএনপি ভোট বয়কট করে, সেই সময় সরকারকে অনেকটাই সাপোর্ট করে ভারত সরকার এমনটাই অভিযোগ তোলেন বিএনপি। আর তারপরে ভারত বিদ্বেষী মন্তব্য তার পাশাপাশি ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। ভারতীয় কাপড় মাঝ রাস্তায় দাঁড়িয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আর এখন শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর বিএনপি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে কি ভাবছে এটাই চিন্তার বিষয়। একদিকে পাকিস্তানের ভূমিকে ব্যবহার করে ভারতে আক্রমণ চালাচ্ছে আতংবাদি, এবার বাংলাদেশের সাথেও যদি সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয় তাহলে ভারতের নিরাপত্তায় বিপদ।
তবে সব জল্পনা মুছে দিয়ে মোদি সরকারের এক বড় পদক্ষেপ। বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে পাঠানো হয় বিএনপি’র সদর দপ্তরে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে যে সংশয় তা এখন কোন পরিস্থিতি তে রয়েছে, সেই বিষয়ে আলোচনা এবং ভবিষ্যতে সম্পর্কের দিক নির্ণয় কি থাকবে? বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর জানায় ভারতের এই পদক্ষেপ দুই দেশের সম্পর্কের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ছিল। এবং ভারত বিরোধিতা নিয়ে তিনি জানান, আওয়ামী লীগ সরকার থাকাকালীন বিরোধী দলরা চেয়েছিল এক নিরপেক্ষ সরকারের তত্ত্বাবধানে এই নির্বাচন সম্পন্ন করা হোক। তবে আওয়ামী লীগ সহমত পোষণ না করায়। বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। এবং সেই সময় ভারতের সমর্থন পেয়েছিল হাসিনা সরকার, সেই কারণেই ভারত বিরোধিতা করা হয়েছে, এমনকি দুই দেশের চুক্তি নিয়েও সমালোচনা করা হয়েছে।
তবে সব থেকে বড় ভারতের মাথা ব্যথার কারণ জঙ্গি হামলা। অতীতে বিএনপি সরকার থাকাকালীন ভারতের জঙ্গি হামলার পর তারা আশ্রয় নিত বাংলাদেশে। এই বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা করা হয় এবং তারা ভারতকে আশ্বস্ত করে। কোনরকম বিচ্ছিন্নবাদী কার্যকলাপকে বাংলাদেশ প্রশ্রয় দেবে না এবং ঠাঁই দেবে না। এবার শুধু বৈঠকে দুই দেশের প্রতিশ্রুতি মান্যতা এবং তার জন্য যে কর্তব্য পালন তা ঠিক মতন দুই দেশ করে কিনা সেটাই প্রশ্ন?
Discussion about this post