বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি টালমাটাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ এর ছাত্র জনরোষের মুখে পড়ে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পরেই ক্ষমতার শীর্ষে বসেন মুহম্মদ ইউনূস। সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে কখনোই শান্তি বিরাজ করতে দেখা যায়নি। অশান্ত বাংলাদেশের অশান্তির শেষ সংযোজন ভারত বিরোধী নেতা ওসমান হাদির মৃত্যু এবং যার জেলে দিকে দিকে চলছে বাংলাদেশ এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু দিপু দাসের হত্যা নাড়িয়ে দিয়েছে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক।আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ ইউনূস প্রশাসন। দীপু দাস নামে এক যুবককে মারধর করে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছে মৌলবাদীরা। এর প্রতিবাদে সরব হয়েছে ভারতবর্ষের অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে ভারতে তাদের হাইকমিশন ও ডেপুটি হাইকমিশনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারতীয় হাইকমিশনার ডেকে পাঠাল বাংলাদেশের ইউনূস সরকারের বিদেশ মন্ত্রক।মঙ্গলবার বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে বাংলাদেশ। এবং এরই মধ্যে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার ভারতের সেনাপ্রধানকে টেলিফোন সংযোগে যোগাযোগ করে বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানায় এবং ভারতের সেনাপ্রধান
কে কথা দেন আর যাই হয়ে যাক মৌলবাদ ইউনূসের মৌলবাদ এর ধ্বংস নীলার দ্বারা ভারতের ঐতিহ্য বাংলাদেশে যা অবস্থিত তা সেনাপ্রধানের দায়িত্ব থেকে রক্ষা করবেন জেনারেল ওয়াকার। তারপরে পরেই যমুনা এবং ক্যান্টনমেন্টের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। হাসিনা ঘনিষ্ঠ এই সেনাপ্রধান বরাবরই ভারতপন্থী মানুষ কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা আবার ভারতবিদ্বেষী মনোভাবাপন্ন হওয়ায় বাংলাদেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে নয়াদিল্লি ও কলকাতা বাংলাদেশের হাইকমিশন ও ডেপুটি হাইকমিশনে কর্মরত আধিকারিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউনূস প্রশাসন। কূটনৈতিক মহল বলছে ইউনূস প্রশাসন নিজের দেশে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোনও পদক্ষেপ করছে না। হাদী কান্ডের পরে পরেই প্রতিবাদের নামে মৌলবাদী তাণ্ডব যমুনায় বসে নিরবে উপভোগ করছেন ইউনূস এমনই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসছে।আজ ২৩ শে ডিসেম্বর বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার এবং দিপু দাসের গণপিটুনির প্রতিবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন। পুলিশ উত্তপ্ত জনতাকে ঠেকাতে বাংলাদেশ হাইকমিশন দপ্তর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড তৈরি করেছে বিক্ষোভকারীদের বাধা দিয়েছে এবং বিশাল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।গত ২২ ডিসেম্বর ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে যে ভারত বাংলাদেশের উদ্বেগের প্রতি সাড়া দিয়ে সমস্ত বিদেশী মিশনের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উত্তপ্ত বিক্ষোভকারীরা ইউনূস সরকারের ক্ষমা চাওয়া এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবী করছেন। এমনকি বাংলাদেশ হাইকমিশনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা লোকদের থামাতে পুলিশ হালকা বল প্রয়োগ করেছ বলে খবর। তবে আগুনে ঘি ঢেলে দেওয়া ইউনুস হারে হারে টের পাচ্ছেন এই জল কোথায় গড়াতে পারে।
তাই বাংলাদেশ সরকার উন্নতিকে ভারতীয়দের ভিসা প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে। কাজেই উত্তেজনার পারদ আরো বাড়ছে। এরই মধ্যে ভারতের হাইকমিশনার কে ইউনূসের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের তলব এই উত্তেজনার এক অন্য মাত্রা সংযোজন করেছে।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়-আজ মঙ্গলবার ভারতে তার কূটনৈতিক মিশনে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এবং নয়াদিল্লি।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলে কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সহিংসতা বা হুমকির তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে বাংলাদেশ। যা কেবল কূটনৈতিক কর্মীদের নিরাপত্তাকেই বিপন্ন করে না বরং পারস্পরিক শ্রদ্ধার নীতি এবং শান্তি ও সহনশীলতার মূল্যবোধকেও ক্ষুণ্ন করে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক্তের মতে মুখে যাই বলুক না কেন বাংলাদেশ আবেভাগে এবং ক্রিয়াকর্ম ঠিক তার উল্টোটাই করে বসছে মুহাম্মদ ইউনুসের সরকার। সারাদিন হবে ভারতের দূতাবাসের উপর হামলা ভারত মনে রেখেছে এবং সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্রিবেদীকে করা ফোনে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের অভিযোগ তুলে ধরা ভারতের বাংলাদেশের প্রতি তিক্ততার মাথায় আরও এক পালকের সংযোজন বলে মনে করছেন।












Discussion about this post