গোটা বিশ্ব জুড়ে এখন যুদ্ধের পরিস্থিতি। আরও বেশি করে এটি উস্কে দিয়েছে ইসরায়েল-হামাস এবং রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ। আর যুদ্ধের জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় জিনিস গোলা বারুদ, যুদ্ধাস্ত্র, যুদ্ধ বিমান, যুদ্ধ জাহাজ এবং ড্রোন। ড্রোন হল যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক একটি যুদ্ধাস্ত্র। তবে জানেন, কারা এই ড্রোনের ব্যবহার প্রথম শুরু করে? যুদ্ধাক্ষেত্রে আরও একটি গুরত্বপূর্ণ হল অ্যাটাকিং ড্রোন। সেটিই বা কি? বিশ্বের কোন দেশের কাছে সবচেয়ে শক্তিশালী এই অ্যাটাকিং ড্রোন রয়েছে? পাশাপাশি ভারতের অবস্থান ঠিক কি? আজকের প্রতিবেদনে তুলে ধরব এই গুরত্বপূর্ণ কিছু তথ্য।
জানা যাচ্ছে, আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে শত্রু বিমানে এবং এন্টি-এয়ারক্রাফ্ট গানগুলির লক্ষ্য হিসাবে ড্রোন ব্যবহার শুরু করে। ড্রোনের আধুনিকরণে যুদ্ধক্ষেত্রে বলা যায় একটি বিপ্লব ঘটিয়েছে। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে এগুলিকে আপডেট করা হয়েছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে প্রতিটি শক্তিশালী দেশেই মিলিটারি ড্রোন রয়েছে। তবে ড্রোনের নিরিখে কোন দেশ সবথেকে এগিয়ে রয়েছে। চলুন দেখা যাক।
তথ্য বলছে দশম স্থানে রয়েছে ফিনল্যান্ড। ফিনল্যান্ডের বৃহৎ মিলিটারি ড্রোন ফ্লিটের অর্ধেকরও বেশি অংশ গঠিত রয়েছে ইসরায়েলের অ্যারোনোটিক্স ডিফেন্স সিস্টেমের দ্বারা। যা তৈরি হয়েছে অর্বিটার টু বি ড্রোন দিয়ে। সামরিক ও নিরাপত্তার জন্য তৈরি এগুলি।
নবম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে রয়েছে ৫১৪টি অমানুষিত বিমান।
অষ্টম স্থানে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার কাছে এই মুহূর্তে ৫৫৭টি বিমান রয়েছে। যার মধ্যে ১৬১ টি পিডি ১। এমনকি ১০০টি ব্যাক হর্নেট রয়েছে। ৩৫৫টি রয়েছে ফ্যানটম ড্রোন।
সপ্তম স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। এদের কাছে অতি উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা মিলিটারি ড্রোন রয়েছে। যার মাধ্যমে নজরদারি, শত্রু মোকাবিল, তথ্য সংগ্রহ করা যায়।
ষষ্ট স্থানে ভারত। ভারতের কাছে উল্লেখযোগ্য ড্রোন রয়েছে। যার সংখ্যা ৬২৫টি। এরমধ্যে অন্তর্ভুক্ত ৬০০টি স্পাইলাইট ড্রোন। যেগুলি ২০১৯ সালে সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ইসরায়েল থেকে ৪০০ বিলিয়ন ডলার খরচ করে উন্নত মানের ড্রোন বহণ করেছে। ১০টি হিরণ ড্রোন সংগ্রহ করেছে। এই ড্রোনগুলিতে রয়েচে অত্যাধুনিক সেন্সর পাশাপাশি কড়া নজরদারি চালাতে পারে। এমনকি অস্ত্রসজ্জিতও রয়েছে ড্রোনগুলিতে।
পঞ্চম স্থানে রয়েছে জামার্নি। জার্মানির ৬৭০টি ড্রোন রয়েছে।
চতুর্থ স্থানে রয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার কাছে ৩০টির বেশি সার্চার মার্কের ড্রোন রয়েছে।
তৃতীয় স্থানে পোল্যান্ড। এই দেশের কাছে ১০০০টির বেশি উজ্জ্বল লাইটেনিং মিউটিশন ইউএভি রয়েছে।
দ্বিতীয় স্থান তুরস্ক। প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মিলিটারি ড্রোন বাহিনীর সংখ্যা ১৩ হাজারেও বেশি। এর মধ্যে অন্যতম আরকিউ ১১ রেভেন। যেটি ছোট আকারে মিনি এ বি।
তবে উল্লেখযোগ্যভাবে ভারতও অনেকখানি এগিয়ে রয়েছে সামরিক শক্তির দিক থেকে। যেখানে ধারে কাছে নেই বাংলাদেশ। সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেভাবে ভারতকে চোখ রাঙাচ্ছে, তা হাস্যরস ছাড়া কিছুই নয়। ভারতের পাওয়ার ইনডেস্ক স্কোর ০.১২৩। চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তিকে মোকাবিলা করার জন্য ভারত ব্যাপক হারে বিনিয়োগ করেছে। ভারতের সামরিক বাহিনী অনেক বেশি শক্তিশালী। এছাড়াও দেশের ক্ষেপণাস্ত্র ট্যাঙ্ক, মিসাইল, সাব মেরিন, অত্যাধুনিক বিমান, যুদ্ধ জাহাজ রয়েছে। ভারত আঞ্চলিক ক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আধুনিকরণে অবিচল। ভারত রাশিয়া, যুক্তরাজ্যের মতো দেশগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াচ্ছে। পাশাপাশি পারমাণিক শক্তি হিসাবে সামরিক সক্ষমতা সুরক্ষিত রাখছে। দেশটি তার প্রতিরক্ষা কাজও ব্যাপক হারে বাড়িয়ে চলেছে।
Discussion about this post