সপাটে চড়।
চড় এক আমলাকে। তাঁর গালে বিরাশি সিক্কার চড় কষিয়েছে সাউথব্লক।
আসলে বাড়াবাড়িটা এমন একটা পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছে, যে দিল্লিকে কার্যত বাধ্য করা হয়েছে এই পথে হাঁটতে, শুরু গত জুলাই-অগাস্ট থেকে। ভারতের উদ্দেশ্যে হুমকি-ধমকি – এই দেড় বছরে কী না হয়েছে। এত কিছুর পরেও সাউথব্লক কিন্তু সংযম দেখিয়ে এসেছে। কূটনৈতিকস্তর থেকে ঢাকাকে বহুবার বার্তা দেওয়া হয়েছে যে তাদের থেকে দিল্লি ভদ্র আচরণ আশা করে। একজন প্রতিবেশী হিসেবে যে দায়িত্ব তাদের পালন করার কথা, তারা যেন সেই দায়িত্ব পালন করে। সেটা তো করেইনি, উলটে পদ্মাপারের বেশ কয়েকজন নেতা লাগাতার ভারত-বিরোধী কথাবার্তা বলে এসেছেন। সে সব বক্তব্যের একটাই সুর – দেখে নেব। আর সরকার হয়ে উঠেছিল তাদের স্পনসরার। তাদের উৎসাহদাতা। তদারকি সরকারের তরফে বিগত দেড় বছরে একবারের জন্য এদের এই সব উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়নি। উলটে সরকার নিজেই দিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। সরকার প্রধান ইউনূস তো চিনে গিয়ে সেভেন সিস্টার্স নিয়ে আবোলতাবোল কথা বলেছিলেন। আর তাঁর কথায় উৎসহিত হয়ে ভারত-বিদ্বেষী গোষ্ঠীর লোকেরা নানা কথা বলে এসেছে। তাই সপাটে গালে চড়।
ভারত-বাংলাদেশ তিক্ত কূটনৈতিক সম্পর্কের টার্নিং পয়েন্ট হাসিনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সরকারি বয়ান। সেই বয়ানে দাবি করা হয়, দিল্লিতে বসে হাসিনা বাংলাদেশের একাংশকে উস্কে দিচ্ছেন। বাংলাদেশে হিংসার পরিকল্পনা করছেন। এমনকী তদারকি সরকার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভর্মাকে তলব করে। বসিয়ে তাঁকে অপমান করেছে। তার জবাব দিতে ভারত অবশ্য দেরি করেনি। যেদিনের ঘটনা, সে দিন বিকেলেই সাউথব্লক থেকে কাটা-কাটা ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ, সুষ্ঠ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে ভারত। বাংলাদেশের বন্ধুসম জনতার স্বার্থবিরোধী কোনও কাজে ভারতীয় ভূখণ্ডকে কখনও ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।অন্তর্বর্তী সরকার অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বলেই আশা করে ভারত।” করেনি বলেই ঠাঁটিয়ে দুই গালে থাপ্পড়।
এই জবাবের পর আশা করা গিয়েছিল বাংলাদেশ আর বাড়াবাড়ি করবে না। কিন্তু সেটা তারা করেনি। বিজয় দিবসের পর থেকে তাদের ওই বাড়াবাড়ি চরমে পৌঁছেছে। তাই, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সাউথব্লক সূত্রে খবর, এই তলবের পিছনে রয়েছে হাসনাত আবদুল্লার সাম্প্রতিক জ্বালাময়ী ভাষণ। কী বলেছিলেন ইউনূসের নয়নমণি হাসনাত?
হাসনাতকে বলতে শোনা যায়, ‘দেশের পরিবেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চাইছে, হাদি ভাইকে যারা হত্যা করেছে, নির্বাচন যারা বানচাল করতে চাইছে, সীমান্তে যারা আমাদের ভাইদেরকে বোনদেরকে মেরে ঝুলিয়ে রাখে, তাদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়দাতা, পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত। ভারতকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই – আপনারা যেহেতু তাদেরকে আশ্রয়, প্রশ্রয় দিচ্ছেন, কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই ভারতের যারা সেপারেটিস্ট আছে বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়ে যে সেভেন সিস্টার্স রয়েছে, সেই সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেব।’ ভারতকে বলা হয়েছে হাসিনার পৃষ্ঠপোষক। দিল্লির উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা – ‘‘হাসিনার পৃষ্ঠপোষক ভারত অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পক্ষকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ভারতকে আর “পার্শ্ববর্তী দেশ” বলার সুযোগ নেই, অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’ চড় মেরে দিল্লি অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপ ঘিরেও দিল্লি রীতিমতো বিরক্ত। মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ছিল ঐতিহাসিক বিজয় দিবস। তার ঠিক দু’দিন আগে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে সে দেশের বিদেশ মন্ত্রক কার্যত পায়ে পায়ে দিয়ে ঝগড়া করেছে। ঠিক যেমন কলতলায় সকাল হলেই শোনা যায়। বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে হাইকমিশনার ভর্মাকে বলা হয়, ঢাকার এক রাজনৈতিক নেতার ওপর হামলার ঘটনায় আততায়ীরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। দিল্লি যেন তাদের ঢাকার হাতে তুলে দেয়। অথচ বাংলাদেশের পুলিশই বলছে, হাদির ঘাতকেরা সীমান্ত পেরিয়ে ওপারে চলে গিয়েছে বলে তাদের কাছে কোনও খবর নেই। প্রণয় ভর্মাকে যেভাবে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেটা শিষ্টাচার বিরোধী বলেই মনে করছে সাউথব্লক। সেটা ওই আমলাকে চড় মেরে বুঝিয়ে দিল সাউথব্লক।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post