প্রতিবেশী দেশ শক্তিশালী হলেই যে সেই প্রতিবেশীর দালালি করতে হবে – এমন কথা কোথাও বলা নেই। কিন্তু প্রতিবেশীকে ন্যূনতম সম্মানটুকু দেওয়া প্রয়োজন। সেই দেশটিকে দায়িত্বশীল প্রতিবেশী বলা যেতে পারে, যে শিষ্টাচার বজায় রাখে। ভদ্র আচরণ করে। পাশের রাষ্ট্রের নাগরিকদের সম্মান দেখায়। যে দেশের সরকার প্রধান নিজেদের রাষ্ট্রপতিকে সম্মান দিতে পারে না, রাষ্ট্রপতিকে পদে পদে বেইজ্জত করে, সেই দেশের থেকে কী করে আশা করা যায়, যে তারা ভদ্র হবে। ভদ্র আচরণ করবে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার পাল্লার ভারসাম্য বজায় রাখবে। করেনি। গত ১৫-১৬ মাস ধরে তারা একদিনের জন্য ভদ্র ব্যবহার করেনি। উলটে এমন সব কুকীর্তি করে এসেছেন, যা পরোক্ষভাবে একটি দেশের ধৈর্য্য, সে দেশের নাগরিকদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে দিয়েছে। আন্তর্জাতিকমহলে তো এখন শোনা যাচ্ছে সেই দেশের পরিণতি হবে ইউক্রেনের মতো। ইউক্রেনের ওপর একসময় কিন্তু আমেরিকার অদৃশ্য শক্তিশালী হাত ছিল। তারা সুযোগ বুঝে, সময়মতো সেই হাত সরিয়ে নিয়েছে। ফলে, এখন রাশিয়ার মার তাদের খেতে হচ্ছে। ইউক্রেনের এখন মার হজম করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা নেই।
আমাদের পাঠক এবং দর্শক বুঝতেই পারছেন কোন দেশের কথা বলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে বাংলাদেশের কথা। এই প্রসঙ্গে চিনের নাম উল্লেখ করতে হয়। ধরা যাক ভারত লাগাতার চিনকে উস্কে চলেছে। ভারতের নেতারা এ দেশের মাটি থেকে চিনের বিরুদ্ধে তেড়ে গাল পাড়ছে। দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। তাহলে চিন কি চুপচাপ বসে থাকত? কখনই নয়। অথচ, বাংলাদেশ গত দেড় বছর ধরে ভারতের বিরুদ্ধে নাগাড়ে বিষোদগার করে এসেছে। সেই দেশের কী পরিণতি হতে চলেছে, তা সহজেই অনুমান করা যেতে পারে।
বাংলাদেশ ক্রমাগত ভারতকে নানা ভাবে উস্কে চলেছে। সর্বশেষ তাদের কুকীর্তি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বেইজ্জত করা। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। প্রশ্ন উঠতে পারে, একটি দেশের হাইকমিশনারকে কী তলব করা যায় না? তিনি যে দেশে রয়েছে, সেই দেশ যদি মনে করে যে হাইকমিশনারের দেশ তাদের অসম্মান করেছে, অপমান করেছে, তাহলে তাঁকে ডেকে তাদের অভিযোগ জানাতেই পারে। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কেন আমাদের দেশে মানুষের একাংশ গর্জে উঠল? গত দেড় বছরের তো তাদের কোনও কণ্ঠ শোনা যায়নি। আসলে সরকারের পাশাপাশি তারাও আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারছে না।
হাদিকে নিয়ে সে দেশের একটি গণমাধ্যমে অতিরিক্ত আইজিপি রফিকুল ইসলামের একটি বিবৃতি তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলছেন, ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলি চালানো, ফয়সালের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রচার কৌশল হতে পারে; এখনও সব শেষ অবস্থান নিশ্চিত নয়, বিচ্ছিন্নভাবে গোয়েন্দারা কাজ করে যাচ্ছে। ’ রফিকুল ইসলাম জোরের সঙ্গে জানিয়েছে, হাদির ঘাতক ভারতে পালিয়ে গিয়েছে, এমন কোনও তথ্য তাদের কাছে নেই। এই ফয়সাল যে ভারত আশ্রিত কোনও দুষ্কৃতী, এই ধরনের কোনও তথ্য তাদের হাতে নেই। অথচ হাদির মৃত্যুর পর তদারকি সরকার তো বটেই, এমনকী হাদির অনুগামীরাও ভারতের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। কিছুদিন আগে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে ডেকেও বলা হয়, হাদির ঘাতকেরা যদি ভারতে পালিয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে দিল্লি যে তাদের ঢাকার হাতে তুলে দেয়। তদন্ত ছা়ডাই কী করে এই রকম একটি নৃশংস ঘটনার সঙ্গে ভারতকে জড়িয়ে দেওয়া হল।
ভারতকে এবার পাল্টা না দিলেই নয়। আর সেই লক্ষ্য পূরণে সাউথব্লক মিজোরামে সেভেন্টিন আর্মি স্ট্রাইক কর্পস মোতায়েন করেছে। এই বাহিনী ভারতীয় সেনার অত্যন্ত ক্ষিপ্র এবং ঘাতক বাহিনী। এই পদক্ষেপ কিন্তু এই প্রথমবার নেওয়া হল। এই বার্তা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য। অর্থাৎ, এবার বেফাঁস কথা বললেই কপালে অসম্ভব দুঃখ রয়েছে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post