আবার ভারত –বিরোধিতা। তবে এবার পদ্মপার থেকে নয়, ভারত-বিরোধিতা এল আরও এক প্রতিবেশী রাষ্ট্রের থেকে। তাদের সঙ্গে আবার বাংলাদেশের সম্পর্ক গলায় গলায়। হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর থেকে তারা সে দেশের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করে। এখন শুধু কাছাকাছি নয়, একসঙ্গে তারা খাওয়া-দাওয়া করছে, আড্ডা মারছে, খোসগল্প করছে। কী করে ভারতের সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া করা যায়, দিন রাত সেই ফন্দিফিকির করে যাচ্ছে। দুই দেশের সেনাকর্তার সম্পর্ক বাংলার বিখ্যাত একটি নাটকের কথা মনে করিয়ে দেয় – ‘দুই হুজুরের গপ্প’।
ব্যাপারটা এখানেই সীমাবদ্ধ নেই। গল্পের আরও আছে। এতো গেলে শুধু ভূমিকা। ভারতের এই প্রতিবেশী দেশের জঙ্গিযোদ্ধারা মাঝে-মধ্যেই সেই দেশে গিয়ে কয়েকদিন খেয়ে-শুয়ে কাটিয়ে আবার নিজেদের দেশে ফিরে যায়। তাদের যাওয়ার উদ্দেশ্য কী করে এই দেশের বুকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানো যাবে। কোথায় বিস্ফোরণ ঘটালে বেশি মানুষের মৃত্যু হবে। কুকীর্তির স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে ওই দেশ। আর এবার তাদের দেশের একটি পত্রিকা ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘র’-য়ের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ তুলেছে। সেই দেশের বিখ্যাত একটি পত্রিকা ‘টাইমস অব ইসলামাবাদ’ বলছে, বাংলাদেশে গৃহযুদ্ধ বাধানোর জন্য সে দেশের মুক্তিবাহিনীর মতো একটি বাহিনী গঠন করছে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা। এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নাকি সম্পন্ন করেছে মোদির দেশ।
হাসিনা বিদায়ের পর ভারতের প্রতি বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি যে বদলে গিয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। পদ্মাপারে এক ভারতীয়কে পিটিয়ে মারার ঘটনা যেমন ঘটেছে, পদ্মার এপারেও একই ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশি সন্দেহে একজনকে উন্মত্ত জনতা পিটিয়ে মারে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যেমন চিড় ধরেছে, চিড় ধরেছে মানুষের সঙ্গে মানুষের। বাড়ছে ঘৃণা আর বিদ্বেষ। এটা কোনওভাবেই অস্বীকার করা যাবে না যে পদ্মার ওপারে থাকা দেশটির সরকার প্রধানের দায়িত্বজ্ঞান হীন আচরণ দিল্লির- ঢাকা সম্পর্ককে তিক্ত থেকে তিক্ততর করে তুলেছে। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বিদ্বেষের বিষ কিন্তু ওপার থেকে প্রথম উগলে ফেলা হয়। দিল্লি এতোদিন শুধু বিবৃতি দিয়েই বিষয়টিকে সীমাবদ্ধ রেখেছিল। এবার কূটনৈতিক স্তরেও পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। শুরু করেছে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া। ভারতের গণমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয় যে পরেশ বড়ুয়া ঢাকা রয়েছে। এই অবস্থায় পাকিস্তানের জনপ্রিয় পত্রিকা ‘টাইমস অব ইসলামাবাদ’ প্রকাশ করল চাঞ্চল্যকর খবর।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনা গোয়েন্দা সূত্রে তারা এই খবর পেয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই বাহিনীর কাজ হবে গুপ্ত হামলা চালিয়ে যাওয়া। বলা হয়েছে ওসমান হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। হাদির মৃত্যু গোটা দেশের পরিস্থিতিকে বদলে দিয়েছে। এটি নিছক একটি মৃত্যু হয়, এটি একটি বিরাট গোলোযোগের সূত্রপাত বলে মনে করা হচ্ছে। হাদির মৃত্যুর পর দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। টাইমস অব ইসলামাবাদ-য়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের গুপ্তচরসংস্থা র এই নাজুক পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে এক বিপজ্জনক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। তারা হাসিনাপন্থী অনুগতদের ব্যবহার করে দেশে একটি উপদলীয় সংঘাত বা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে। তাদের লক্ষ্য হল, ২০২৬-য়ের নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করে এটা প্রমাণ করা যে এই সরকার দেশ চালাতে সক্ষম নয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতের গুপ্তচর সংস্থা বাংলাদেশের শিক্ষিত এবং বেকার যুবকদের বিভ্রান্ত করে তাদের উগ্রপন্থার দিকে ঠেলে দেওয়ার এক ভয়ঙ্কর ছক তৈরি করেছে।
টাইমস অব ইসলামাবাদ- পত্রিকার দাবি যে হাস্যকর তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা নির্বাচনের আগে সে দেশে একটা অস্থির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। হাসিনা বিদায় নেওয়ার পর থেকেই তো বাংলাদেশ অস্থির। নতুন করে তাদের আবার অস্থির করে তোলার কি আছে।
বাংলাদেশে সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছৌঁয়া, শুধু সস্তা হল লাশ। তৌহিদি জনগনকে খুশি করতে হলে শুধু টাকা পয়সা এবং...
Read more












Discussion about this post