সম্প্রতি বাংলাদেশের তরফে ভারতের দিকে ধেয়ে আসছে নানা মন্তব্য। কার্যত হুমকি বলছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। কখনও সেভেন সিস্টার্স নিয়ে, আবার কখনও কলকাতা দখলের হুমকি। যদিও তাতে কান দিচ্ছে না ভারত। কারণ বাংলাদেশের মতো একটি অতি ক্ষুদ্র একটি দেশ ভারতের মতো শক্তিশালী দেশকে হুমকি দিয়ে ভয় ধরাতে পারবে না। কারণ ভারত সামরিক দিক থেকে বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী দেশ।
সুরক্ষার দিকে অত্যন্ত সতর্ক ভারত। সীমান্তে কড়াকড়ি করেছে বিএসএফ।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের অন্দর থেকে উঠে এসেছে একাধিক হুমকি। সেভেন সিস্টার্স নাকি দখল করবে বাংলাদেশ। শুধু সেভেন সিস্টার্স নয়, কলকাতা দখলেরও হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠনের কিছু নেতা। যদিও তা নিয়ে একাবারেই চিন্তিত নয় ভারত। কারণ ভারতের সামরিক শক্তি বাংলাদেশের থেকে বহুগুনে বেশি। তবে ইউনূসের সরকার ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কি পরিকল্পনা করছে, তা প্রায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
বাংলাদেশে এখন যে সামরিক শক্তি রয়েছে, তা অনেকটাই দুর্বল। তাতে ভারতের সঙ্গে মোকাবিলা তো দূরের কথা, ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্যের সঙ্গেও যুদ্ধ পেরে উঠতে পারবে না। অন্যদিকে দিনে দিনে সামরিক শক্তির দিক থেকে শক্তিশালী হচ্ছে ভারত। সেই ভারতকেই চটাচ্ছে বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু নির্যাতন পাশাপাশি ভারতের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। নয়াদিল্লির এই প্রতিক্রিয়া শুনে আগ্রাসী হয়ে উঠেছে অন্তবর্তীকালীন সরকার। সুপরিকল্পিতভাবে হিন্দুদের উপর টার্গেট কিলিং শুরু করেছে। হিন্দুদের উপর আরও নির্যাতন চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হচ্ছে মন্দির। আর এর মধ্যেই নিজেদের মতো করে গুটি সাজাচ্ছে ভারতও।
এরমধ্যেই বাংলাদেশে পার হয়ে গিয়েছে অনেকগুলি দিন। সেদেশে নির্বাচন নিয়ে একাধিক বিষয় উঠে আসছে। অভিযোগ উঠছে, নির্বাচন নিয়ে গড়িমসি করছে ইউনূস। পাশাপাশি অনেকে সেখানে, দেশের সংবিধান বদলের দাবি তুলছেন। অর্থাৎ, গোটা দেশটিতে যে অরাজকতা সৃষ্টি হচ্ছে তাতে খুব সহজে যে লাগাম টানা যাবে না। তা কার্যত বলা যায়। এরমধ্যে ভারতের ইন্ধন দেখছে অনেকে। অনেকে বলছেন, বাংলাদেশের লাগাম টানতে ট্রাম্প হস্তক্ষেপ করুক। এর জেরে খানিকটা আয়ত্তে ফিরবে গোটা দেশ।
Discussion about this post