শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন। বেশ কিছুদিন তিনি বাংলাদেশ নিয়ে চুপ থাকলেও এখন তিনি বিভিন্ন সময়ে মন্তব্য করছেন। তিনি আবারও ভারত থেকে বাংলাদেশ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন। তবে কি বাংলাদেশের সমস্ত বিষয়ের উপর নজর রাখছেন হাসিনা? এই প্রশ্নই কার্যত উঠছে। পাশাপাশি ট্রাম্পের সাথে জয়শঙ্করের গোপন বৈঠকের কথা উঠে আসছে। তবে কি হাসিনার প্রত্যর্পণ হচ্ছে?
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, নিউইর্কে আওয়ামি লিগের এক সভায় শেখ হাসিনার অডিয়ো বার্তা শোনানো হয়ে। আর সেই বার্তাতেই হাসিনাকো বলতে শোনা যায়, সমন্বয়কদের কেউ বলছেন, কোনও মৃতদেহ পেলে ময়নাতদন্ত করা যাবে না। এর অর্থ কী? রহস্য রয়েছে। আওয়ামি লিগের নেতা-কর্মী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে। হত্যা মামলার কোনও সীমা নেই। এর সঙ্গে গ্রেফতার, নির্যাতনও রয়েছে।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সংবিধান বদলের ডাক দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গ তুলেই শেখ হাসিনা অডিয়ো বার্তাতে জানান, যতই চেষ্টা করা হোক আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়া হবে। আদতে সেটা কেউ করতে পারবে না। পাশাপাশি যেভাবে দেশের অব্যান্তরে একের পর এক কাজ হচ্ছে, তার বিচার বাংলাদেশের মধ্যে হবে। অর্থাৎ, বোঝায় যাচ্ছে, বাংলাদেশের গতিবিধির উপর নজর রয়েছে শেখ হাসিনার। দেশের অভ্যান্তরে না থাকলেও ভারতে বসে তিনি সমস্ত কিছুর উপর নজর রাখছেন।
এদিকে ডিসেম্বরের শেষের দিকে একের পর এক পট পরিবর্তন হ য়। ২৯ ডিসেম্বর ইউনূসের প্রেস সচীব বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের কোনও সম্পর্ক নেই। আবারও ৩০ ডিসেম্বর তিনি জানান, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করবে সরকার। শেখ হাসিনার পতন এবং মুহাম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে চরম অবনতি হয়েছে বাংলাদেশের। এর কারণ হিসেবে একাধিক বিষয় থাকলেও একটি বিষয় বারবার আলোচনায় আসছিল। তা হল ভারত নাকি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন বিষয়ে নাক গলায়। অর্থাৎ ভারত বাংলাদেশের উপর কর্তৃত্ব ফলাতে চায়। বাংলাদেশের উপদেষ্টাদের মুখে এই ধরণের বক্তব্য বারবার শোনা গিয়েছে। যেমন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বা ছাত্রনেতাদের মধ্যে যে দুজন উপদেষ্টা হয়েছেন তাঁরা বারবার ভারতকে কাঠগড়ায় তুলে এসেছেন। যদিও ভারত, তাঁদের এ হেন মন্তব্য নিয়ে কখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি অথবা পাত্তা দেয়নি। এবার বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের গলায় শোনা গেল উপদেষ্টাদের ঠিক উল্টো সুর। প্রথম আলোকে দেওয়া বছরের প্রথমদিন এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামান ভারত সম্পর্কে বলেন, বাংলাদেশের জন্য ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। বাংলাদেশ অনেক বিষয়েই ভারতের উপর নির্ভর করে। আবার ভারতও কিছু ক্ষেত্রে বাংলাদেশের থেকে সুবিধা পায়। এটা একটা দেওয়া নেওয়ার সম্পর্ক।
অর্থাৎ বাংলাদেশের সেনা প্রধানের সঙ্গে মুহম্মুদ ইউনূসের সম্পর্ক খানিকটা শীতল হচ্ছে। অর্থাৎ বোঝায় যাচ্ছে, বাংলাদেশের মধ্যে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে। যা দেশটিকে আরও বিপদে ফেলতে পারে। পাশাপাশি ট্রাম্পের সাথে জয়শঙ্করের গোপন বৈঠকের কথা উঠে আসছে। তবে কি হাসিনার প্রত্যর্পণ হচ্ছে? এই প্রশ্নই জোরাল হচ্ছে।
Discussion about this post