পুলিশের জালে, আন্তর্দেশীয় কিডনি পাচার চক্রের মাথা রাসেল। বাংলাদেশী নাগরিক রাসেল সহ আরও ছয় জন কে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। যাদের মধ্যে অন্যতম নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক বিজয়া কুমারী।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল জানিয়েছেন, ধৃত মহিলা চিকিৎসক নয়ডা শহরে ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। যাঁদের কিডনি তিনি সরিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মোটা টাকার বিনিময় এই কাজ করেছেন মহিলা চিকিৎসক।
দিল্লির পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, ধৃত চিকিৎসক জানতেন, দাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও তিনি অঙ্গ প্রতিস্থাপন করে আইন ভেঙেছেন। ভারতের ‘মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন, ২০১৪’ অনুযায়ী, একমাত্র ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের কিডনিই রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা যায়। রক্তের সম্পর্ক নেই, এমন কারও বা দূর সম্পর্কের আত্মীয়দের কিডনি কোনও রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করাটা আইনত অবৈধ। অঙ্গ প্রতিস্থানের দাতা ও গ্রহীতাদের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা হস্তান্তরিত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে দিল্লি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, এই পাচার চক্র দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে দিল্লির আশপাশের হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেখানে চক্রের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসকরা তাদের কিডনি অপসারণ করতেন। বিজয়া কুমার যে চক্রটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, সেই চক্রের অধিকাংশ সদস্য বাংলাদেশি নাগরিক। গত মাসে দিল্লি পুলিশ এই চক্রের তিনজন বাংলাদেশি সদস্যকে গ্রেফতার করে। এবিষয়ে হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানান, ডা: বিজয়া যে ব্যক্তিদের কিডনি অপসারণ করেছেন তারা কেউই হাসপাতালের নিবন্ধিত রোগী ছিলেন না। তার সুপারিশের ভিত্তিতেই তারা ভর্তি হয়েছিলেন। বিজয়া কুমারি ছাড়াও ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের আর কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ভার নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুসের উপর। তিনিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। নতুন শাসকের বাংলাদেশে এসে আপ্লুত...
Read more
Discussion about this post