অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশে। প্রথমে ছাত্রদের কোটা বিরোধী আন্দোলন। যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। এমনকি সেই ঘটনা ধরে বাংলাদেশে হল পালাবদল। তৎকালীন সে দেশের প্রধানসমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লেন। গঠিত হল অন্তবর্তীকালীন সরকার। যার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু তিনি রাশ টেনে ধরার পরও আয়ত্তে আসেনি বাংলাদেশ। তা আরও একবার প্রমাণিত হল।
সে দেশে হিন্দুদের উপর হয়ে চলা অত্যাচার কার্যত বেড়েই চলেছে। তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সে দেশের সনাতনী জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের ডিবি পুলিস। তারপর থেকে পথে নেমেছে সনাতনী হিন্দু। চলছে লাগাতার বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। এমনকি সেদেশের ঘটনার প্রতিবাদ এই বাংলাতেও আছড়ে পড়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিকবার পথে নেমেছে। বহু মানুষ এই ঘটনায় প্রতিবাদ করছেন।
তথ্য বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার আট শতাংশ সংখ্যালঘু এবং মৌলবাদী সংগঠনের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের অবস্থাও অত্যন্ত শোচনীয়। আর এর মধ্যেই পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের একটি অস্ত্র চুক্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্থানের কাছ থেকে নাকি অস্ত্র কিনেছে বাংলাদেশ। সূত্রে খবর, ৫২ বছর পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই ধরণের অস্ত্র বিনিময় হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী গোলাবারুদ ও অস্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বহু দেশের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশ। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির উপর পর্যালোচনা করে সেভাবে উত্তর দেয়নি কোনও দেশ। তখনই পাকিস্তান থেকে অস্ত্র নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু অস্ত্র কিনতে গেলে সমালোচিত হতে হচ্ছে তাদের। তার কারণ, দালালি সম্পর্কে সন্দেহের মধ্যে রয়েছে সে দেশ। মহম্মদ ইউনূস-সহ বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর বেশ কিছুজন সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।
বাংলাদেশ পাকিস্তানকে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ সরবরাহ করার জন্য বলেছে। যেটি শেখ হাসিনার আমলের থেকেও পরিমাণে বেশি। কিন্তু আদতে ঠিক কত পরিমাণ পাকিস্তান তা সরবরাহ করেছে তা সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post