ইরান-ইসরাইলের যুদ্ধ পরিস্থিতি অব্যাহত। যা গোটা বিশ্বে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এর মধ্যে টার্গেট হয়ে পড়ল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের দূতাবাসের উপর হামলা চালাল ইসরায়েল। ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস কে টার্গেট করে মিসাইল স্ট্রাইক করা হয়েছে। এমনকি দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্তার বাসভবন গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই হইচই শুরু হয়েছে। অনেকে বলছেন, ইরান ইসরাইলের যুদ্ধে বাংলাদেশ জড়িয়ে গেল। অনেকে আবার বলছে, বাংলাদেশ প্রতিটা জায়গায় নিজেদের ছাপ রাখতে গিয়ে বিপদে পরে তারা। তবে কি ইরানে বাংলাদেশকে ধ্বংস করল ট্রাম্প?
বিবিসি নিশ্চিত করেছে এই খবর। যেখানে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের দূতাবাসে ইসরাইল হামলা চালিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েল আর কোনও দেশের দূতাবাসে হামলা চালায়নি। বাংলাদেশি দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলাম নামে ওই কর্মকর্তা ইরানে রাজধানী তেহরানের তৃতীয় জেলা ‘জর্ডান’ এলাকা বাসিন্দা। ইসরায়েল ঘোষণা করে জানিয়ে দিয়ে ইরানের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালায়। হামলার আগে বাসিন্দাদের এলাকা থেকে সরে যেতে বলা হয়। যার ফলে প্রাণহানি কম হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় অধিকাংশ স্থাপনা। সোমবার ইসরায়েলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থাপনা গুলির মধ্যে ছিল ইরানের একটি নৌঘাঁটির কাছে ওই এলাকায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনসহ বাংলাদেশের ফার্স্ট সেক্রেটারি ওয়ালিদ ইসলামের বাসভবন। তবে তিনি সে সময় বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন ওয়ালিদ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনীর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন বলে খবর। আসিম মুনীর নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ সারেন। সেখানে পাকিস্তান সেনাপ্রধান দাবি তুলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে যেন শান্তির জন্য নোবেল দেওয়া হয়। এদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,ইরান ইসরাইলের যুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বলীর পাঠা করছে বাংলাদেশ সরকার। কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প নাকি ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। হঠাৎ এই জায়গায় দাঁড়িয়ে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিন্দা করছেন। উল্টো দিক থেকে আবার যখন আসিম মুনীর ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নোবেল দেওয়ার কথা বলছেন, তখন তারা সেটার নিন্দা করছেন না। এক্ষেত্রে দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাংলাদেশের। অথচ এই আসিম মুনীর ভারতে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, সেক্ষেত্রে তারা প্রতিবাদ করছে না। কারণ অবশ্য সবাই জানে। বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানপন্থী। তাই তাদের প্রতিবাদের ভাষাও অনেক বেশি সীমিত পাকিস্তানের জন্য। অনেকে বলছেন, ইরানকে বাংলাদেশ সরাসরি সমর্থন করে কূটনৈতিক স্তরে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে। বাংলাদেশের মনে রাখা উচিত, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না রাখলে বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় বিপর্যয় দেখা যেতে পারে। কারণ বাংলাদেশ প্রায় কথা দিয়ে দিয়েছে, মানবিক করিডোর তারা করবে। এবং বাংলাদেশের দূতাবাসের ইসরাইলের যে হামলা, সেটা বাংলাদেশের জন্য একটা অশনী সংকেত।
অন্যদিকে আমেরিকার গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে খবর এসেছে, ইরান নাকি মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র পরিকল্পনার ছক কষছে ইরান। এক্ষেত্রে সিরিয়া, ইরাক এই সমস্ত দেশে ইরানপন্থী বিদ্রোহী রূপ রয়েছে, তারা নাকি মার্কিন ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করছে। আর এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছেন বলে খবর। এমনকি শোনা যাচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যে প্রায় ৪০ হাজার মার্কিন সেনা নিযুক্ত করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এই পরিস্থিতিতে ইরানি ইসরাইলে এই যুদ্ধে, কোনও দেশে সরাসরি ঢুকতে চাইছে না। কিন্তু বাংলাদেশ সরাসরি যেন ইরানকে সমর্থন করছে। পাশাপাশি ইসরায়েল দাবি করছে, ইরানের সিকিউরিটি সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দিয়েছে। ইরানের কমিউনিটি সিস্টেম শেষ করছে ইসরায়েল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, ইরানকে সব দিক থেকে ধ্বংস করতে চাইছে ইসরায়েল। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ইরানকে সমর্থন করছে। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে ইসরাইলি হামলায় বাংলাদেশের দূতাবাস ভেঙে গুঁড়িয়ে যাওয়া ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
Discussion about this post