সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। রাজধানী ঢাকা-সহ গোটা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে হিংসা। পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় ছাত্র লিগের সংঘর্ষ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন বলে খবর। গোটা বাংলাদেশে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। তবুও থামানো যাচ্ছে না বিক্ষোভ। দফায় দফায় রেল ও সড়ক অবরোধ চলছে। এই পরিস্থিতিতে দুটি আন্তর্জাতিক ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের প্রথমসারির সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের এক উচ্চপদস্থ সূত্র উদ্ধৃতি করে প্রথম আলো জানিয়েছে, ঢাকার ভিতরে কোনও ট্রেন প্রবেশ করবে না এবং ঢাকা থেকে কোনও ট্রেন ছাড়বে না। আর যেহেতু সারা দেশ থেকে বেশিরভাগ ট্রেনই রাজধানী ঢাকায় আসে, তাই সারা দেশেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই বাংলাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এই আবহেই জানা যাচ্ছে, শনিবার ঢাকার উদ্দেশে কলকাতা থেকে যে মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ে, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, রবিবার কলকাতা-খুলনা এবং খুলনা-কলকাতা বন্ধন এক্সপ্রেসও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভারতীয় রেল। অপরদিকে ঢাকা এবং নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচলকারী মিতালী এক্সপ্রেসও বন্ধ থাকতে পারে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানিয়েছে, বাংলাদেশের রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, আন্দোলনকারীরা যাতে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যাতায়াত করতে না পারেন সেই কারণেই ট্রেন বন্ধ করে দেওয়া হল। রেল কর্তাদের দাবি, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলে, আন্দোলনকারীরা ইচ্ছেমতো যে কোনও জায়গায় জমায়েত করতে পারবে না। এছাড়া নাশকতাও আটকানো যাবে। অতীতে বহুবার দেখা গিয়েছে এই ধরণের আন্দোলন হিংসাত্মক চেহারা নিয়েছে। যা ট্রেনে আগুন ধরানো, ভাঙচুর, রেললাইন উপড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছিল। তাই এবার আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বন্ধ করে দেওয়া হল ট্রেন চলাচল। ফলে আপাতত বন্ধ হয়ে গেল মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের মতো আন্তর্জাতিক ট্রেনও।
Discussion about this post