মিয়ানমারে উপপ্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশের, জানান প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান। মোট ৬ কিস্তিতে ৮ লাখ রোহিঙ্গাকে নেওয়ার কথা হয়েছে এই আলোচনায়। একই সঙ্গে দ্রুততার সাথে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে ফেরানোর আর্জি মিয়ানমারের। জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একসঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছে বাংলাদেশ-আরাকান আর্মি।
মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে, মিয়ানমারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উ থান শিউর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তার। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে একটি বড় পদক্ষেপ হয়েছে। ২০১৮ – ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছয়টি কিস্তিতে আট লাখ রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে, সেখান থেকে আড়াই লাখ রোহিঙ্গা তারা রিভিউ করেছেন। তার মধ্য থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে শনাক্ত করেছেন, যারা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে এসেছে। আর বাকি ৭০ হাজার নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি আছে। সেই বিভ্রান্তি দূর করতে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আলোচনা চালিয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত,গত ১৫ মার্চ কক্সবাজারের উখিয়ায় শরণার্থীশিবিরে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সঙ্গে ইফতারে যোগ দিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। খলিলুর রহমান বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব বাংলাদেশ সফরে এসে বলেছেন, প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান। আমরা চীন সফরেও দেখেছি, সেখানকার যৌথ বিবৃতিতেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান বলা হয়েছে। শুধু এই প্রত্যাবাসন ইস্যু হয়েছে, আর কোনো ইস্যু নেই। এছাড়া প্রত্যাবাসনের বিষয়ে আমরা প্রথমবারের মতো একটি সঠিক সুরাহা পেলাম। উল্লেখ্য,গত আট বছরে এই সংখ্যাটা আমাদের কাছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কোন সংখ্যা ছিল না। এই প্রথম একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের সংখ্যা পেল বাংলাদেশ।
Discussion about this post