বাংলাদেশের রাজনীতির মোড় ঘোরানো ২০১৮ নির্বাচন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক আয়োযোক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে আটক করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উত্তরার বাসভবন থেকে তাকে বার করে আটক করে বেশ কিছু স্থানীয় মানুষ এরপর তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় তারা। অর্থাৎ তিনি সরকার এবং প্রশাসনের বেশ কড়া নজরদারিতেই ছিলেন, একথা বলাই বাহুল্য। পাশাপাশি জানা গিয়েছে ২০১৪ ২০১৬ এবং ২০১৮ নির্বাচনের তিন সাবেক সিইসি সহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিএনপি। তারপরই নুরুল হুদার গ্রেপ্তারির খবর প্রকাশ্যে এলো। পাশাপাশি প্রকাশ্যে এলো তাকে জুতোর মালা পরিয়ে আটক করার দৃশ্য।
উল্লেখ্য আওয়ামী লীগ জমানার তিন সাবেক সিইসির জন্যই নাকি হাসিনার বারবার জয়লাভ। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে তার উত্তরার বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসা হয়। তিনি নাকি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভোট চুরির কারিগর ছিলেন। তারপর তার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ভিডিও করার পর তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। পরে সেখান থেকে সাবেক এই প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে গ্রেফতার দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ডিবি হেফাজতে। তবে এখন আওয়ামী লীগ সরকার সেদেশে নেই। এমনকি আওয়ামী লীগ নেত্রী দেশ ছেড়েছেন। ছাত্রনেতাদের জমানায় এই পরিস্থিতিতে সাবেক কে এম নুরুল হুদা জনতার রোষে পড়ল। বিএনপির করা একটি মামলায় রবিবার সন্ধ্যেতে ঢাকার উত্তরার বাড়ি থেকে সাবেক সিইসিকে আটক করে কিছু মানুষ। তারপর পুলিশ গ্রেফতার করে। অভিযোগ, এই নুরুল ছিলেন আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের অন্যতম। অথচ এই দরদণ্ডপ্রতাপ নেতা এখন জনতার রোষে আটক। তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। পরে তাকে ৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আওয়াল একাধিক নির্বাচনে বিতর্কিত বক্তব্য দেন বলে অভিযোগ। এমনকি বহু রাজনৈতিক দল নির্বাচন বয়কট পর্যন্ত করে। আওয়ামী লীগের সময়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যারা প্রহসন করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম এই হাবিবুল আওয়াল। এছাড়াও কাজী রকিবদ্দিন আহমেদ। তিনি ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তখনকার সিইসি ছিলেন। তার সময়ও নানা অভিযোগ উঠে আসে। কিন্তু তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি। এখন নুরুল হুদা ছাড়াও আরও বাকি দুজনকেও গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছেন বাংলাদেশের বহু মানুষ।
Discussion about this post