বাংলাদেশের সেনাবাহিনী নিয়ে নানারকম চর্চা চলছে।
পাকিস্তানি আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর ভিতরে নানারকম ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছে। এই খবর আসছে নানা সূত্র মারফত। আর সেই আবহে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবাদি। একটি সাক্ষাৎকারে ভারতীয় সেনাপ্রধান বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রসঙ্গ তোলেন। স্বাভাবিকভাবে তার বক্তব্য থেকে উঠে আসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীও।
সম্প্রতি, আফ্রিকা সফর শেষ করে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। তারপরই নাকি সিআইএ এবং ভারতের র এর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারমধ্যে তিনি দেশে যেভাবে তেজগাঁও বিমানবন্দর দিয়ে ফিরেছেন, সেটা নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তবে ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বীবেদি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পাকিস্তানের আইএসআই এবং পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে। শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের আইএসআই বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার প্রবল চেষ্টা চালাচ্ছে। কিছু কিছু সেনা সদস্যকে বিপথে চালনা করারও চেষ্টা চলছে বলে খবর। ওই সাক্ষাৎকারে ভারতের সেনাপ্রধান যে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে স্পষ্ট বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক যে পর্যায়ে পৌঁছেছে, সেটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান থেকে একের পর এক জাহাজ আসা, পাকিস্তান থেকে বিভিন্ন শীর্ষ আধিকারিকরা বাংলাদেশ পরিদর্শন করা। উল্টোদিকে বাংলাদেশের শীর্ষ আধিকারিকরা পাকিস্তান যাওয়া, সবটাই কিসের ইঙ্গিত, সেটাও বুঝতে পারছে ভারত। তবে বাংলাদেশ বুঝবে, সেটা শুধু সময়ের অপেক্ষা।
এদিকে বাংলাদেশে সেনাপ্রধান ফিরতেই অ্যাকশন মুডে সেনাবাহিনী। জানা যাচ্ছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী। সেখানকার আব্দুল লতিফ হলে ছাত্র শিবিরের সভাপতির ঘোর তল্লাশি করে হদিশ মিলেছে অস্ত্র ভান্ডারের। উদ্ধার হয়েছে ব্যাপক পরিমাণে অস্ত্র। এমনকি জানা যাচ্ছে, ৫ই অগাস্টের পর পুলিশের যত অস্ত্র লুঠ হয়েছে, তার অনেকটাই এখানে চালান হয়েছিল বলে খবর। কিন্তু পুলিসের অস্ত্র কিভাবে সেখানে পৌঁছল, সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। এমনকি এও বলা হচ্ছে, এখানে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে, সেটা জানে পুলিস ও সেনাবাহিনী। কিন্তু তারপরও এতদিন তল্লাশি চালানো হয়নি। অবশেষে সেনাবাহিনী সেগুলিকে উদ্ধার করে।
শুধু তাই নয়, মার্চ ফর খিলাফতের ডাক দিয়েছিল হিজবুত তাহরী। ঢাকা দখল করতে চায় এই নিষিদ্ধ গোষ্ঠী। আসলে বাংলাদেশে খিলাফত গড়ার ডাক দিচ্ছে তারা। শুক্রবার ঢাকার রাজপথে দেখা গেল শয়ে শয়ে মৌলবাদীকে মিছিল করতে। বাংলাদেশ কিভাবে সন্ত্রাসী দেশে পরিণত হচ্ছে, তার বড় প্রমাণ এদিন। যদিও এই সংগঠনটির মিছিল ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিস। শুক্রবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠে ঢাকার রাজপথ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যেদিন সেনাপ্রধান বাংলাদেশে ফিরলেন, সেই দিনই এই ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছ3। তবে কি এর মধ্যে দিয়ে হিজবুত তাহেরী বিশেষ কোন বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করল? যদিও তাদের লক্ষ্য তাড়া পূরণ করতে পারেনি। সেনাবাহিনী সেটা রুখে দেয়।
প্রসঙ্গত, মোহাম্মদ ইউনূসের আমলে বেড়ে উঠতেই তারা যেভাবে সংগঠন মজবুত করছে, তাতে বিপদে পড়তে হবে বাংলাদেশের সরকারকে। এখন দেখার, মহুমদ ইউনূস সেটা বুঝতে পারেন কিনা!
Discussion about this post