ভারত বিরোধী ছাত্র নেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আবারও একবার উত্তাল ও অশান্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। গত বছর গণ অভ্যুত্থানের মতো আবারও একবার জায়গায় জায়গায় অশান্তি, বিক্ষোভ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার সাক্ষী থাকল শেখ মুজিবর রহমানের সাধের বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান যেভাবে অদৃশ্য হয়ে পড়েছিলেন ঠিক এইবারেও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র তথা ছাত্র নেতা হাদির মৃত্যুর ঘটনায় দেশ উত্তাল হয়ে উঠলে একই কায়দায় অদৃশ্য হয়ে যান সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ্জামান। দেশ উত্তাল হয়ে গেলেও একবারের জন্য তাকে দেখা যায়নি গত বছরও আর সম্প্রতিও। তাহলে কি বাংলাদেশের জনগণ ধরে ফেলেছেন যে সেনাপ্রধান ওয়াকার একজন বিশ্বাসঘাতক
হাসিনা সরকারের পতনের পর দেড় বছরের মাথায় আবার যখন নতুন করে বাংলাদেশ ধ্বংসলীলার সাক্ষী সাথে গোটা বাংলাদেশে যখন আগুনে জ্বলছে তখন তাতে ঘি ঢেলেছে ভারত বিরোধী স্লোওগান। যা ফলে ভারত ও বাংলাদেশের মাঝের সম্পর্ক খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়ে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। বাংলাদেশের এই সন্ত্রাসবাদী পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মহম্মদ ইউনুসকে আবারও সরাসরি দায়ী করলেন বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের এই অবস্থার জন্য দায়ী ইউনুস আর জামাতের উস্কানি। মৌলবাদীদের দৌলতে কঠোরপন্থীদের হাতে চলে গিয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হল, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এই চরম পরিস্থিতিতে সেনাপ্রধান ওয়াকার গেলেন কোথায় তাহলে কি তিনি ব্যর্থ সেনাপ্রধান তাহলে কি তিনি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ দেশের এই অবস্থায় যদি তার দেখায় না মেলে তাহলে কি জন্য তিনি সেনাপ্রধানের পদে বসে আছেন তাহলে কি তিনি এখন নিজের পিঠ বাঁচাতে ভারতের পদতলে পড়ছেন সেই কারণেই কি তিনি নিজে যেচে ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন এরকম নানান প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে ওয়াকার ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সাথে ফোনে কি কথা বলেছেন তা না জানা গেলেও ভারত যে আর কোনোভাবেই বাংলাদেশকে বিশ্বাস, ভরসা করেনা তা স্পষ্ট।
অন্যদিকে ক্ষমতাচুত্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে আসার পর ভারতের আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি ভারতের কোথায় আছেন তা সকলের অজানা হলেও সামাজিক মাধ্যমে ও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে নিজের বিবৃতির মাধ্যমে নিজের জানান দিয়েছেন হাসিনা। তিনি দেশে না থাকলেও, তার দল বাংলাদেশে নিষিদ্ধ হলেও তার দেওয়া নির্দেশে তার দল আওয়ামীলীগ নতুন করে জনমানসের মনে আস্থা জোগাচ্ছে। যা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না পাকিস্তানী প্রেমী ইউনুস। ইউনুস দাবি করেছেন, ভারতের প্রশ্রয়ে হাসিনার এত বাড়বাড়ন্ত। এমনকি হাসিনার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে ভারতকে একাধিক চিঠিও দিয়েছে ঢাকা। সেই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি ভারত। যদিও পাল্টা ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়ে দিয়েছিলেন, হাসিনার যতদিন ইচ্ছা তিনি ভারতে থাকবেন। সাথে সেনাপ্রধান ওয়াকারকেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। সাথে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুরা সুরক্ষিত ও ভালো নেই পড়শী দেশ বাংলাদেশে। মন্দির ও ঠাকুর ভাঙা থেকে শুরু করে হিন্দুদের ওপর লাগাতার অত্যাচার এবং সম্প্রতি দিপু চন্দ্র দাস নামক এক ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যার পর তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেছে যে হিন্দুরা ১ % ও ভালো নেই বাংলাদেশে। ফলে এসকল পরিস্থিতিতে ইউনুস সাহেব চুপ করে বসে থাকলে ভারতকেই এগিয়ে যেতে হবে। তাহলে কি তাদের মনের ইচ্ছা এবার পূরণ হবে ভারত – বাংলাদেশের যুদ্ধের এর পরিনাম যে কি হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারছে না বাংলাদেশ।












Discussion about this post