সম্প্রতি ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে বাংলাদেশের অন্দর থেকে উঠে এসেছে একাধিক হুমকি। সেভেন সিস্টার্স নাকি দখল করবে বাংলাদেশ। শুধু সেভেন সিস্টার্স নয়, কলকাতা দখলেরও হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশের কট্টরপন্থী সংগঠনের কিছু নেতা। যদিও তা নিয়ে একাবারেই চিন্তিত নয় ভারত। কারণ ভারতের সামরিক শক্তি বাংলাদেশের থেকে বহুগুনে বেশি। তবে ইউনূসের সরকার ভারতের সেভেন সিস্টার্স নিয়ে কি পরিকল্পনা করছে, তা প্রায় প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
আসামের এসটিএফ বাংলাদেশের সীমান্তে প্রায় ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে। যারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নাশকতার ছক কষেছিল। আসাম থেকে প্রায় ৫ জন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ২ জন এবং কেরালা থেকে ১ জনকে গ্রেফতার করেছে আসাম আসটিএফ। যারা নাকি আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধানও ছিল। সেই আনসারুল্লা বাংলা টিম, যারা বারবার চিকেনস নেক, শিলিগুড়ি করিডর নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছিল। আসাম পুলিস গোপনে খবর পেয়ে তল্লাশি শুরু করে। তাদের এই অভিযানকে নাম দেওয়াছিল প্রঘাট। এই প্রঘাটের মাধ্যমে তাদের জালে ধরা পড়ে ৮ জন জঙ্গি। এমনকি, জঙ্গিদের ভারতের সমস্ত স্লিপার সেল গুলি খোলার পরিকল্পনাও ভেস্তে দেয় এসটিএফ বাহিনী। তাদের ফোন, ফোন কল চ্যাট, ল্যাপটপ সমস্ত কিছু বাজেয়াপ্ত করে তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদা করে একাধিক তথ্য উঠে এসেছে। প্রাথমিকভাবে যা জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত তা ভারতের সুরক্ষার বিষয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে।
তবে এখন একটা প্রশ্ন উঠছে, আনসারুল্লা বাংলা টিম কী?
আনসারুল্লা বাংলা টিম হল আলকায়দার একটি শাখা সংগঠন। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় যখন তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করতে পারে না, তখন তাদের আনসারুল্লা বাংলাকে দিয়ে একাধিক সন্ত্রাসমূলক কাজ করে। আনসারুল্লা বাংলা টিমের প্রধান নেতা জসিমুদ্দিন রহমানি, তিনি হাসিনা সরকারের আমলে জেলে ছিলেন। মহম্মুদ ইউনূসের সরকারের আমলে তাকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। সেদিনই ইউনূসের সমস্ত রকমের পরিকল্পনা প্রাথমিকভাবে ধরা পড়ে গিয়েছিল। যদিও ভারত এগুলিতে কোনওদিনই আমল দেয়নি। আজও দেবে না।
অন্যদিকে সুরক্ষার দিকে অত্যন্ত সতর্ক ভারত। সীমান্তে কড়াকড়ি করেছে বিএসএফ।ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে একাধিক সেনা মোতায়েন করেছে। কড়া প্রহরায় রয়েছে বিএসএফ। এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে প্রস্তুত ভারত। আমদানি করা হয়েছে একাধিক যুদ্ধাস্ত্র এবং ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে প্রচুর পরিমাণে সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের চট্টোগ্রাম জেলা সংলগ্ন সীমান্তের কাছেই প্রায় ৩৫ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলাদেশের তাক করা হয়েছে পিনাকা লগাইডেড মিসাইল। যা রেঞ্জ ৭০ থেকে ৭৫ কিলোমিটার। প্রয়োজনে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। এদিকে সেনা মোতায়েনে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ইউনূস সরকারকে। রাফাল তে রয়েছেই। এইবার সামনে এল সুখোই ৫৭। রাশিয়া থেকে ভারত পেতে চলেছে সুখোই ৫৭। যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া এবং সারা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী ফাইটার জেট। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত? শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সেখান থেকে তারা অস্ত্র মজুত করছে। ভারত বিদ্বেষ জিগার উঠার পরই নাকি অস্ত্র কেনার কথা ভেবেছে বাংলাদেশ।
Discussion about this post