শেখ হাসিনা আবার ফিরবে! আওয়ামী লিগ আবার ফিরছে ভয়ঙ্কর রূপে! কখনও বিদ্যালয়ের গেট, রেল স্টেশন আবার কখনও মসজিদের এলইডিতে ভেসে উঠছে এমনই বেশ কিছু লেখা । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে চাপানউতর। কিন্তু সত্যিই কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরতে পারবে আওয়ামি লিগ? ফিরলেও সেটা কোন পথে বিস্তারিত জানাবো এই প্রতিবেদনে। ২০২৪ এর ১৪ অক্টোবর ট্রেনের বগি লাইন চ্যুত হওয়ার ঘটনায় ব্যাহত হয়েছিল ট্রেন পরিষেবা ঠিক সময় কমলাপুর রেল স্টেশনের ডিসপ্লেতে ভেসে উঠেছিল আওয়ামী লিগ জিন্দাবাদ লেখা। সেই সময় রেল কতৃপক্ষ দাবি করেছিল সফটওয়্যার হ্যাক করে কেউ এই ধরণের কাজ করেছিল, এই দাবির ভিত্তিতে দুই অধিকারিককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
পরবর্তীতে একই ঘটনা খুলনা রেলওয়ে স্টেশনেও। সেই বছরেরই ১৪ ডিসেম্বর খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে র ডিজিটাল ব্যানারে ভেসে উঠেছিল। ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আবার ফিরবে। সেই সময়ই স্থানীয়সূত্রে খবর পেয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা ও বিনপি র নেতৃত্বরা স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ সেখানে পৌঁছে ঘটনাপ্রবাহ জেনে রেল স্টেশন থেকে একজনকে আটক করে। আবার এমন ঘটনা থেকে বাদ পড়লোনা মসজিদও। কিছুদিন পর ৩০ ডিসেম্বরেই ফেনীকেন্দ্র বড় মসজিদের ডিজিটাল স্ক্রিনে ভেসে উঠলো আওয়ামী লিগ আবার ফিরবে, জয় বাংলা। এই ঘটনায় স্থানীয়রা একজন অপারেটরকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এই ঘটনার আবহে ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, ও বিদ্যালয়ের ডিজিটাল বোর্ড বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় ফেনীর জেলা প্রশাসক।
এখানেই শেষ নয়, নতুন বছরের শুরুর দিনেই জীবননগর উপজেলার একটি সরকারি বিদ্যালয়ে মূল প্রবেশদ্বারের ডিজিটাল স্ক্রিনে প্রদর্শীত হয়, আওয়ামী লিগ আবার ভয়ংকর রূপে ফিরবে। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে স্থানীয়দের মধ্যে। এই সব ঘটনাকে তারা হুমকি হিসাবেই দেখছেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন ডিসপ্লে তে আওয়ামী লিগের ফেরার কথা দেখানো হলেও, বিশ্লেষকরা মনে করছেন শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লিগের বাস্তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফেরা কার্যত এতটা সহজ নয়। কারণ জুলাই বিপ্লবের সময় আওয়ামী লিগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে একযোগে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, আর এই হত্যা মামলার বিচার না হওয়া প র্যন্ত আওয়ামী লিগের রাজনীতিতে ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছেন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয় নাহিদ ইসলাম।
গত বছর ৫ অগাস্ট গণভ্যুতথানের জেরে দেশ ছেড়েছেন তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবং জুলাই বিপ্লবের হত্যা কাণ্ডের জেরে গা ঢাকা দিয়েছে আওয়ামী লিগের সব নেতা কর্মীরা। যার মধ্যে বেশির ভাগ নেতাই নিরুদ্দেশ তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আর বিশেষজ্ঞ রা জানাচ্ছেন, দেশের রাজনীতিতে এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল গা ঢাকা দিয়েছে। তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের বিচারের মুখমুখি হতেই হবে, আর এই গণহত্যার বিচারের পরই জানা যাবে আওয়ামী লিগের অস্তিত্ব আদৌ বজায় থাকে নাকি বাংলাদেশ। সব টাই নির্ভর করবে সাধারণ জনগণের উপর।
Discussion about this post