অপেক্ষার ২০শে জানুয়ারি। নতুন বছরের ২০ শে জানুয়ারির মধ্যে নাকি শেখ হাসিনার ভাগ্যের চাকা ঘুরতে চলেছে। এমন খবরই চাউর হচ্ছে গত বছরের শেষ দুটি মাস থেকে। ২০ শে জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে বসতে চলেছেন। তারপরই নাকি আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে পারে। চাপে পড়তে পারেন মাহমুদ ইউনুস। তার মধ্যেই শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্ত হতে পারে। বাংলাদেশের ভিতরে বিভিন্ন স্লোগান এবং পোস্টারে ছেয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ এখনো বিশাল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষা করছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছে।
৫ই অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তবর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। যার মাথায় বসানো হয়েছে নোবেল জয়ী মোহম্মদ ইউনূসকে। তারপরই দেশের অভ্যন্তরে জ্বলন্ত কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। যেমন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বাড়ছে বেকারত্বের হার। এর ফলে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ নাগরিকের। এছাড়াও, দেশের সনাতনী হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার চলছে। আরও বেড়েছে ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর। লাগাতার নির্যাতন চলছে দেশের অভ্যন্তরে। এখনও সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ট প্রভু জেলে বন্দী। এখনও লাগাতার প্রতিবাদ চলছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজপথে। এর জেরে অরাজকতা অব্যাহত রয়েছে বাংলাদেশে। কাজেই দেশে ফের শান্তি ফেরানোর জন্য হাসিনাকেই চাইছে দেশের একটি বড় অংশ।
যদিও দেশের স্থায়ী সরকার গঠনের জন্য নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ২০২৫ এর শেষে অথবা ২০২৬-এর মাধ্যমে সময় দিয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। নির্বাচনে কোন কোন দল অংশগ্রহণ করবে তা এখনো নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। তবে আওয়ামী লীগ যে লড়বে, তা প্রায় নিশ্চিত। এর পাশাপাশি হাসিনা বাংলাদেশে আবার প্রত্যাবর্তন করবেন সেই খবর রটছে। তবে কিভাবে তিনি বাংলাদেশে আবার ফিরবেন তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি। ইদানিং বাংলাদেশের কিছু কার্যকলাপের জন্য ভারত যে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু একটা করতে চলেছেন, তা আঁচ করতে পারছেন অনেকে। আরো বেশি করে এ প্রসঙ্গে উঠে আসছে, কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মসনদে বসবেন, তারপরেই ট্রাম্পের খেলা শুরু হবে। তবে কি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মোদীর সাহায্যে প্রত্যাবর্তন হতে চলেছে শেখ হাসিনার? প্রশ্ন উঠছে।
Discussion about this post