বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর থেকে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। এইবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা থেকেই বাদ দিয়ে দিলেন। এর আগে দেখা গিয়েছিল, ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু হিসাবে শেখ মুজিবর রহমানের কৃতিত্ব। এইবার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে শেখ মুজিবরকে রাখলেন না। তাকে নাকি বলা হবে, মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী শক্তি। তাহলে কি আসল মুক্তিযোদ্ধা মোহম্মদ ইউনূস?
আসলে অনেকে বলছেন, মহম্মদ ইউনূস সেই ধর্মের সমর্থক যারা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের আলাদা হওয়াটাকে কোনওদিন সমর্থন করেনি। আসলে তারা চায়, বাংলাদেশ পাকিস্তানের অনুগত হয়েই থাকুক। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে। এমনকি গোটা দেশে যেখানে যেখানে শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি ছিল, সবগুলিকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মুজিবের ধানমন্ডির বাড়িতে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে ফেলা হয়েছে। ভেঙে গুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ইউনূসের বাংলাদেশে আর মুক্তিযোদ্ধা বলে অভিহিত করা হবে না শেখ মুজিবুর রহমানকে। মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়া শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম,সহ প্রায় ৪০০-র বেশি মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে দিল ইউনূসের সরকার। যা ঘিরে তুমুল হইচই বাংলাদেশে।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশে এই অধ্যাদেশ জারি হয় লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগ থেকে। সেখান থেকে বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এক অধ্যাদেশ জারি করে। সমস্ত মুক্তিযোদ্ধার নেতার পরিচয় দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সহকারী হিসেবে।
এতে কারও নাম নেই। নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হচ্ছে, ওই নেতাদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। নতুন অধ্যাদেশ বলছে, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারই নয়, অন্তত চার ধরনের স্বীকৃতি থাকা মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় মুক্তিযুদ্ধের সহকারী হিসেবে ঠিক করা হয়েছে। প্রথমত, যে সব বাংলাদেশি বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
দ্বিতীয়, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কর্মকর্তা-কর্মচারী বা দূত-সহ অন্য বিশেষ সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তৃতীয়টি হল, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী, দেশ থেকে বিদেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা বাংলাদেশের সমস্ত সাংবাদিক। আর একটি শ্রেণী হল, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।
আসলে ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমান সহ সেই সরকারের এমএনএ, এমপিএ দের বির মুক্তিযোদ্ধা বলে অবিহিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তাদের প্রত্যেককে সহকারী মুক্তিযোদ্ধা বলা হচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, নয়া অধ্যাদেশ অনুসারে মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর তালিকায় বহু নতুন নাম সংযোজন করা হবে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল মহম্মদ ইউনূস। অথচ তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশেই ছিলেন না। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও দেশে স্বাধীনতার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই। বাংলাদেশ প্রশাসনের একাংশ বলছেন , তালিকাটি এমনভাবে সংশোধিত করা হয়েছে, তাতে প্রথম তালিকায় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী ঘোষণা করে বঙ্গবন্ধুর সমতুল্য করে তোলা যায়। এটা ঘিরে তুমুল আলোচনা বাংলাদেশে।
Discussion about this post