পাকিস্তান মহা বিপদে। পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করল তালিবানি সৈন্য। সেই সংখ্যাটা প্রায় ১৫ হাজার মতো। তবে ঘটনার সূত্রপাত করেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। এমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। তারা হঠাৎ করেই তালিবানদের উপর একটি এয়ারস্ট্রাইক করে বসে। আর এর ঠিক দু দিন আগে আফগানিস্তানে বোমা বর্ষণ করে। তালবানের তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ৪৬ জন মহিলা এবং শিশুদের উপর এই বোমা বর্ষণ করেছে। তবে পাকিস্তানের এইরূপ কার্যকলাপ কেন? মনে করা হচ্ছে, এর পিছনে রয়েছে একটি বড়সড় কারণ।
বালুচিস্তান ইস্যু নিয়ে পাকিস্তান এমননিতেই সমস্যায় রয়েছে। বালুচিস্তান নিয়ে তালিবানিদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা রেষারেষি করেছে। তারা বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধের হুঁশিয়ারি পর্যন্ত দিয়েছেন। আসলে পাকিস্তানের একাধিক সেনার মৃত্যু, যার পিছনে তালিবানিদের একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি করে পাকিস্তান সরকার। তবে তালিবানিদের উপর আক্রমণের কারণ হল চীনের কাছে প্রশংসা পেতে চেয়েছিল পাকিস্তান। উল্লেখ্য, করাচি বিমান বন্দরের বাইরে একটি বিস্ফোরণ হয়েছিল। সেই বিস্ফোরণে চীনা নাগরিক দুজন মারা গিয়েছিল। যার বিপক্ষে চীন সরকার পাকিস্তানকে চেপে ধরে বলেছিল, এর একটা সুরাহা করতে হবে। অর্থাৎ চীনের কাছাকাছি আসতে গিয়ে তালিবানিদের আক্রমণ করে পাকিস্তান।
এদিকে পাকিস্তান দাবি করছে, শেষ এক বছরের মধ্যে পাকিস্তানের অ্যান্টি টেরোরিজম অ্যাটাক তা ৫৬ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ পাকিস্তান নিজের দেশের মধ্যে সন্ত্রাস বন্ধ করতে আপারগ। তারা এর জন্য তালিবানির একটি সংগঠনকে দায়ি করেছে। এর ফলস্বরূপ তালিবানিদের উপর আক্রমণ করেছে। এদিকে, তারা এখটি ভুল জায়গা চিহ্নিত করে ৪৬ জন নারী এবং শিশুদের উপর বোমা বর্ষণ করেছে।
এরমধ্যেই জয়শঙ্কর গিয়েছিলেন পাকিস্তানে। তিনি ভারতে ফিরে আসার পর আফগানিস্তানে পৌঁছন ভারতের অন্যতম একটি প্রভাবশালী কর্তা। আফগানিস্তানে তালিবানি সরকারের সঙ্গে মিটিং করেন। এরপরই পাকিস্তানের উপর কার্যত আক্রমণ চালাচ্ছে তালিবানি সংগঠন। এরমধ্যে তালিবানিদের বিদেশমন্ত্রী একটি বিবৃতি দিয়েছেন। সেখানে তিনি লেখেন, ভারত এবং আফগানিস্তানের যে সম্পর্ক তা আরও মজবুত করব। অর্থাৎ ভবিষ্যতে ভারত এবং আফগানিস্তান একে অপরের পাশে থাকবে। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, এর পিছনে জয়শঙ্কর নেই তো? কারণ তার মিটিং-এর পর একের পর এক ঘটনা ঘটছে। যা কার্যত চাপে পড়ছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দেশটি সবথেকে দুর্বল হয়ে পড়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যে দেশটির দেওলিয়া ঘোষণা হওয়ার মতো। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দেশটির জঙ্গি কার্যকলাপ তাও সামনে আসছে। আর এরমধ্যেই মহা বিপদে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দিকে এগিয়ে যেতে শুরু করেছে ১৫ হাজার মতো তালিবানি সৈন্য। তারা হঠাৎ করেই তালিবানদের উপর একটি এয়ারস্ট্রাইক করে বসেই নিজেদের বিপদ নিজেরোই ডেকে আনল। তালবানের তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী, ৪৬ জন মহিলা এবং শিশুদের উপর এই বোমা বর্ষণ করা হয়েছে, তা মোটেই ভালোভাবে নয়নি কার্যত বোঝা যাচ্ছে। এখন দেখার, এই সমস্যা কীভাবে মোকাবিলা করে পাকিস্তান।
Discussion about this post