আরও কঠোর ভারত সরকার ভারতের বিজেপি নেতার কড়া হুশিয়ারি! ‘ভারতের সঙ্গে টক্কর দিলে বাঁচতে পারবেনা বাংলাদেশ।’ আর এই হুশিয়ার এর পরে বাংলাদেশী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক একটি ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। দেশের জন্য লজ্জাজনক ঘটনায় এখন বাংলাদেশের কি প্রস্তুতি? সেই প্রশ্নও উঠছে। ভারত একের পর এক চাপ সৃষ্টি করছে বাংলাদেশের উপর, এবার আরও চাপে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক-সহ অন্যান্য বহু পণ্যের আমদানিতে ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ১৭ই মে যে সব নতুন কড়াকড়ি ও বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এই সিদ্ধান্তকে পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবেই বর্ণনা করছে।
সম্প্রতি ঢাকা ভারতের রফতানিতে যেসব অশুল্ক বাধা আরোপ করেছে, তার জবাবেই নয়াদিল্লির এই কড়া সিদ্ধান্ত ।
উল্লেখ্য,কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চীন সফরে গিয়ে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চল সাতটি রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্স কে স্থলবেষ্টিত বলে অভিহিত করেন এবং বাংলাদেশকে সমুদ্রঅঞ্চলের একমাত্র অভিভাবক হিসেবেও দাবি করেন। অর্থাৎ সেই মন্তব্যেরই এই পাল্টা প্রতিক্রিয়া নয়া দিল্লির এমনটাই দাবি বিভিন্ন মাধ্যমের।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ থেকে মোট আমদানির ৪২ শতাংশই বাধাপ্রাপ্ত হবে। যার পরিমাণ অন্তত ৭৭ কোটি ডলার। গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ’ বা জিটিআরআই এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশ থেকে এখন প্রতি বছর ভারতে ৬১.৮ কোটি ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রফতানি করা হয় যেটা এরপর থেকে কলকাতা ও মুম্বাই সমুদ্রবন্দর ছাড়া আর কোনও রুটে আনা যাবে না।
প্রসঙ্গত,গত মাসেই বাংলাদেশ ভারত থেকে পোশাক তৈরির অপরিহার্য কাঁচামাল ও চাল আমদানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। তারও আগে অবশ্য ভারত তাদের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনও দেশের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য পাঠানোর সুযোগ অর্থাৎ ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করেছিল।
প্রথমে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে রফতানির জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে এবং তারপর স্থলবন্দর বন্ধ করে দিয়ে ভারত সরকার ভারতের বিভিন্ন রফতানি কারকদের দাবিই কার্যত মেনে নিল বলে ভারত। টেক্সটাইল খাতে ভারত ও বাংলাদেশকে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী বলেও উল্লেখ করা হচ্ছে।
Discussion about this post