সদ্য লন্ডন সফর করে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস। এটা ছিল তার ১১তম বিদেশ সফর। কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি নজির গড়ে এসেছেন। কখনও তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন, আবার কখনও দেখা গিয়েছে তার প্রেস সচিবের বিরোদ্ধে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, জুতোর মালা পরানো হচ্ছে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের কুশপুতুলে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন চরম অপমান বাংলাদেশের আর কোনও রাষ্ট্রপ্রধানকে হতে হয়নি। কিন্তু ইউনূসের শাসনামল এমন বিতর্কিত, যে তিনি বিদেশের মাটিতে গিয়ে শুধু নিজের নয়, গোটা দেশবাসীর মুখ পুড়িয়ে নিয়ে এলেন। অন্যদিকে ইউনূসের সরকার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন বলে অভিযোগ। যখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফে ঘোষণা করা হল, যে মহম্মদ ইউনূস লন্ডন যাবেন, তখন বলা হয়েছিল, তিনি নাকি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী স্টারমারের সঙ্গে দেখা করবেন। এমনকি লন্ডনে গিয়ে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী দেখা করতে চাননি ইউনূসের সঙ্গে। তখনই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, প্রধানমন্ত্রী নাকি কানাডায় রয়েছেন। কিন্তু পরে জানা যায়, তিনি দেশেই ছিলেন। কিন্তু ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেননি। কেন এই মিথ্যাচার?
ওদিকে তিনি বিদেশ সফর থেকে কি নিয়ে এলেন এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন। তার কারণ তিনি সফরে প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে খবর। শুধু তাই নয়, ১১টি সফরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেটা সরকারি তহবিল থেকে। এমনকি ৭০ থেকে ৭৪ দিন পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে বলে খবর। আসলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও বিদেশ সফর থেকেই মহম্মদ ইউনূস এমন কিছুই আনেননি, যেটা নিয়ে বাংলাদেশ জুড়ে হইচই শুরু হতে পারে। এমনকি শেখ হাসিনা যা উন্নতি করেছিলেন দেশের, তাতে মহম্মদ ইউনূস প্রায় ১০ বছর পিছিয়ে নিয়ে গিয়েছেন বাংলাদেশকে। এমনকি লন্ডনের মাটিতে তাকে শুধু বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে, তাই নয়, রীতিমতো ইউনূসকে টেরোরিস্ট বলছেন কিছু মানুষ। অর্থাৎ বিদেশের মাটিতে পা রেখেই বাংলাদেশের মান কমিয়ে দিলেন মহম্মদ ইউনূস।
মহম্মদ ইউনূস লন্ডন পৌঁছতে সেখানে চরম অপমানজনক পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন বলে খবর। তাকে স্বাগত জানাতে প্রশাসনের তরফে কেউ আসেনি বলে খবর। এমনকি হোটেল থেকে বের হতে পারছিলেন না বলে খবর। অন্তত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ছবি থেকে সেটা স্পষ্ট নজরে এসেছিল। একদিকে ইউনূসের বিরুদ্ধে পোস্টার লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, অন্যদিকে হাসিনার পক্ষে পোস্টার নজরে এসেছিল। পাশাপাশি হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ প্রভুর মুক্তির দাবিতে ফেস্টুন দেখা গিয়েছিল। খবর পাওয়া যাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে রয়েছেন, সেখানে শত শত মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তারা। এছাড়াও লন্ডনের বিভিন্ন জায়গাতে প্রতিবাদ বিক্ষিপ্তকারে লক্ষ্য করা গিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার লন্ডন সফরের আগেই মনে করা হচ্ছিল, তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন। তার কারণ বাংলাদেশের বাইরে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী সমর্থক ও নেতা রয়েছেন লন্ডনে। আর সেখানেই আওয়ামী লীগের প্রতিরোধের মুখেই পড়লেন তিনি। তারা এককাট্টা হয়ে এই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলে খবর। অর্থাৎ বিদেশের মাটিতে হাসিনার মাস্টারপ্ল্যান। অন্যদিকে এই ঘটনা একটি দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে। এখন দেখার, এই বিষয়ে বাংলাদেশের জনগণ এইবার কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেয়।
Discussion about this post