বাংলাদেশের অস্থিরতা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। এদিকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভারত এবং বাংলাদেশের তীক্ততা। যেন সমস্ত ইতিহাস ভুলে ভারতের সঙ্গে তীব্র বিরোধীতায় মেতে উঠেছে পড়শি দেশ। এমনকি ভারত বয়কটের ডাক দিচ্ছে ওদেশের বহু মানুষ। ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে ওপার বাংলায়। তবে থেমে নেই এপার বাংলাও। তার প্রতিবাদ চলছে এ দেশের মানুষদের মধ্যে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সখ্যতা বাড়াতে চাইছে বাংলাদেশ। বাণিজ্যিকভাবেও সম্পর্ক মজবুত করতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। আমদানির সঙ্গে সঙ্গে রফতানিতে নজর দিচ্ছে ইউনূস প্রশাসন। এইবার সেই সূত্র ধরেই মালদ্বীপের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালু হচ্ছে বাংলাদেশের।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বিশ্ব পর্যটনের ক্ষেত্রে মালদ্বীপ বেশ গুরত্বপূর্ণ দ্বীপরাষ্ট্র। এখানে সারা বছরই বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। মালদ্বীপের সঙ্গে অন্যান্য দেশের সরাসরি বাণিজ্যিক যোগাযোগ রয়েছে। তবে নৌপথে বাংলাদেশের পক্ষে পণ্য সরবরাহ করার কোনও সম্ভব ছিল না। তবে এইবার নতুন খবর সামনে আসছে। ঢাকার সঙ্গে সরাসরি জাহাজ পরিষেবা চালু হতে চলেছে মালে পর্যন্ত। এমনটাই খবর জানিয়েছে মালদ্বীপের বাংলাদেশী হাই কমিশনার।
মনে করা হচ্ছে, এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক মজবুত হবে। জানা যায়, মালদ্বীপ দ্বীপরাষ্ট্র বলে প্রয়োজনীয় সমস্ত সামদ্রীই অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করা হয় এই রাষ্ট্রে। এই সমুদ্রপথ আরও সহজ হলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ক্ষেত্রে অনেকটাই লাভবান হবে। লাভবান হবে বাংলাদেশ এবং দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপও। ফলে অর্থনীতিতে অনেক বেশি জোয়ার আসবে বলেও মনে করা হচ্ছে মালদ্বীপে।
এদিকে এই বিষয় নিয়ে আরও কিছু বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের হাই কমিশনার। মালদ্বীপে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার মোঃ সোহেল পারভেজ। দুই দেশের মধ্যে জাহাজ পরিষেবা শুরু হলে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে। তাদেরও একই বক্তব্য, এর ফলে দুই দেশ বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ এবং মালদ্বীপের মধ্যে যে বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছএ তা খুবই কম। তবে এই সমস্ক বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। এমনকি জাহাজ পরিষেবা চালু হলে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়বে। এমনটাই মন্তব্য তার। তবে এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ভারতের সঙ্গে বিরোধীতা করে বাংলাদেশের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। সেই মতো অবস্থায় অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে সম্পর্ক গড়ছে পদ্মাপাড়ের দেশ। এরফলে কতটা লাভবান হবে সে দেশ, সেটাই এখন দেখার।
Discussion about this post