বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার কন্যা তথা ব্রিটেন সংসদ টিউলিপ সিদ্দিক এবার বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস অর্থাৎ বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকার ও দুদক এর বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠালেন। এই দুই সংস্থার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্দেশ্যে এই পদক্ষেপ টিউলিপের। এখন প্রশ্ন উঠছে, উকিল নোটিশের বাস্তবতা কি, তিনি কি উল্লেখ করলেন ওই নোটিশে? হঠাৎ কেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও দুদকের বিরুদ্ধে এই নোটিশ পাঠানো হল? পাশাপাশি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই উকিল নোটিশের উত্তর না পাওয়া গেলে টিউলিপের পক্ষের আইনজীবীরা ধরে নেবেন বাংলাদেশ অন্তবর্তী সরকারের কাছে টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে আর কোন মামলা নেই, সমস্ত মামলার ফয়সলা সম্পন্ন হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি কালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুসের বিরুদ্ধে, ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টা ও সুনাম নষ্ট করার “পরিকল্পিত প্রচারণা” চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটিশ সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ডঃ মোহাম্মদ ইউনূস ও দুদক কে পাঠানো টিউলিপ এর উকিল নোটিশে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।অর্থার্ট ওই উকিল নোটিসে তিনি বলেছেন, তার সুনাম ক্ষুণ্ন করাই তাদের উদ্দেশ্য।
“সেই সঙ্গে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করা, বিশেষ করে তার নিজ নির্বাচনী এলাকা, তার রাজনৈতিক দল এবং দেশসেবার কাজে বিঘ্ন ঘটাতে তারা এসব অভিযোগ তুলেছেন, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”এমবটাই করা হয়েছে ওই নোটিশে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করে দুদক। কোনো কোনো মামলায় তার হাসিনার বোন শেখ রেহানা কন্যা ব্রিটিশ এমপি টিউলিপের নামও রয়েছে সেই তালিকায়।
এসব মামলার বিষয়ে দুদক ও টিউলিপের মধ্যে শুরু থেকেই চিঠি আদানপ্রদান চলছে। তবে টিউলিপের অভিযোগ, মুহাম্মদ ইউনূস বা দুদক এখনও পর্যন্ত তার কোনো চিঠির জবাব দেয়নি।
গত ৯ জুন চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। সেই সফরের আগে ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে একটি চিঠি পাঠানোর কথা জানান টিউলিপ। ইউনূসের লন্ডন সফরের কথা শুনে টিউলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাতের উদ্যোগ নেন। তিনি দুদকের অভিযোগের বিষয়ে ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা টিউলিপের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ।
Discussion about this post