ভারতের পশ্চিমপ্রান্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর “অপারেশন সিঁদুর” আপাতত স্থগিত রয়েছে। পাকিস্তানের মাটিতে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতীয় সেনা হামলা চালায় পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ১১টি ঘাঁটিতে। কার্যত তছনছ করে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও বিমানঘাঁটিগুলি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের দাবি, পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডারেও আঘাত হেনেচ্ছে ভারত। ফলে এই মুহূর্তে পাকিস্তান কার্যত বেসামাল। কিন্তু অপারেশন সিঁদুরের ধাক্কা সামলে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনগুলি এবার অন্য লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে বলেই খবর। লস্কর ই তৈবা, জৈশ এ মহাম্মদ বা হরকত উল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি এবার বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর জন্য। এমনটাই জানা যাচ্ছে বিভিন্ন গোয়েন্দা এজেন্সি সূত্রে। পাক সেনাবাহিনীর স্পেশাল কমান্ডো গ্রূপের প্রশিক্ষিত স্নাইপার বাহিনী নাকি এই মুহূর্তে ঢাকায় অবস্থান করছে। তাঁদের টার্গেট বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান।
বাংলাদেশে গত বছর ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পালাবদলের পর থেকে ভারতবিরোধী মনোভাব দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাকিস্তান প্রীতি। এই পরিস্থিতি আরও জটিল করছে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের উপস্থিতি। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অভিমত, ভারত-পাক যুদ্ধ গোটা বিশ্বের নজর ঘুরিয়ে দিয়েছে ভারতের দিকে। মাত্র চার দিনে ভারতীয় সেনা যেভাবে পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ও বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়ে কার্যত পঙ্গু করে দিয়েছে তাতে শুধু পাকিস্তানের নয়, গর্ব খর্ব হয়েছে চিন, তুরস্ক ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও। এর কারণ ভারতের আক্রমণে মার্কিন যুদ্ধবিমান এফ-১৬ ও সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি জেকোকাবাদে পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে অবস্থান করা কয়েকজন মার্কিন সেনাও নিহত হয়েছে বলে খবর। অপরদিকে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও রাডার সিস্টেম চিনের তৈরি, যা পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছে ভারত। চিনের তৈরি জে -১০, জে-১৭ ফাইটার জেটও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি। অপরদিকে তুরস্কের ড্রোন একটাও ভারতের আকাশে ঢুকতে পারেনি ভারতের এয়ার ডিফেন্স ভেদ করে। ফলে সকলের মুখ পুড়েছে এবং ওই সব সংস্থার শেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশে তাঁদের একটি সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে চাইছে। বাংলাদেশের দক্ষিণে চট্টগ্রামের কক্সবাজারে তারা রাখাইন মানবিক করিডর চাইছে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান এটা দিতে নারাজ। অন্যদিকে মুহাম্মদ ইউনূস আবার চিনের দিকে ঝুঁকে আছেন। তিনি চাইছেন লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি চিনের হাতে তুলে দিতে। এটাও মেনে নিতে পারছেন না সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তাই এই মুহূর্তে মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর দোসরদের সবচেয়ে বড় শত্রু বাংলাদেশের সেনাপ্রধান। তাঁকে কোনওভাবেই বোঝাতে না পেরে এবার অন্য পথে কাঁটা ওপড়াতে চাইছেন ইউনূস বাহিনী। তাই পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে বাছাই করা স্নাইপার কমান্ডো।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে ভারতের সামনে এখন পরিস্থিতি আরও কঠিন। কারণ পশ্চিম সীমান্তে ভারতকে লড়তে হয়েছে একমাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে। বাকিরা আড়ালে ছিল, তাই তাঁদের থেকে খুব একটা আশঙ্কা ছিল না ভারতের সামনে। কিন্তু বাংলাদেশে প্রকাশ্যেই মার্কিন সেনার উপস্থিতি রয়েছে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি চিনের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল ঘুরে গিয়েছে রংপুরের লালমনিরহাট এলাকায়। পাশাপাশি পাক আইএসআইয়ের বেশ কয়েকজন কর্তাও এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছেন। সবমিলিয়ে সেখানে একটা বড় ধরণের ঘোঁট পাকছে বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। একাংশের মতে, ভারত বাংলাদেশ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে অনেকটাই দেরি করে ফেলেছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের দাবি, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান মিয়ানমারে রাখাইন মানবিক করিডোরের ঘোরতর বিরোধী। তাঁকে মানাতে একাধিকবার চেষ্টা করেছে মার্কিন কূটনৈতিকরাও। কিন্তু তিনি দেখাও করেননি, এমনকি মার্কিন সফরও বাতিল করেছিলেন। বাংলাদেশ সেনার একটি অংশ আবার মুহাম্মদ ইউনূস এবং জামাত শিবিরের সঙ্গে রয়েছে। সেই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন লেফটানান্ট জেনারেল কামরুল হাসান এবং লেফটানান্ট জেনারেল ফইজুর রহমান। তাঁরা ঘনঘন বৈঠক করছেন মার্কিন সেনাকর্তা ও কূটনৈতিকদের সঙ্গে। তাঁদেরই মদতে ঢাকায় মোতায়েন হয়েছে পাক স্নাইপার কমান্ডোরা। যারা বহু দূর থেকে রাইফেল চালাতে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। অনুমান, তাঁদের টার্গেট সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। মঙ্গলবারই তিনি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-সহ আশেপাশের কয়েকটি সেনানিবাসের আধিকারিকদের সঙ্গে গোপন বৈঠক করছেন। সেথানে তাঁর ভাষণও দেওয়ার কথা। যা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন ইউনূস বাহিনী। কারণ, জেনারেল ওয়াকারের সমর্থনে বাংলাদেশ সেনার একটা বড় অংশ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। ফলে একাধিকবার চেষ্টা করেও বাংলাদেশ সেনার অভ্যন্তরে অভ্যুত্থান ঘটানো যায়নি। তবে কি এবার জেনারেল ওয়াকারকে সরাসরি মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হল? উত্তর মিলবে অচিরেই।
Discussion about this post