বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস দিশেহারা। আর সেই দিশেহারা পরিস্থিতিতে যা খুশি মন্তব্য করছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি দাবি করছেন, ভারত নাকি বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিতে চায়। আসলে আতঙ্কে ভুগছেন তিনি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী,প্রধান রাজনৈতিক দল এবং সাধারণ মানুষ ইউনূসের বিপক্ষে চলে গিয়েছে। আর অনেকে এটাই মনে করছে, ভারত এই পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত নীরব রয়েছে মানে এটা নয়, চুপ করে বসে রয়েছে। আসলে ভারত ভিতরে ভিতরে ঘুটি সাজিয়েছে।
আসলে সম্প্রতি বাংলাদেশের তরফে ভারত বিরোধিতা এতটাই বেড়ে গেছে, বিভিন্ন সময় বাংলাদেশকে যোগ্য জবাব দেবার জন্য ভারত নানা রকম পদক্ষেপ করেছে। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে সংকটে রয়েছে। আর সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ভারত দু ভাবে জব্দ করেছে বাংলাদেশকে। ভারতে সবথেকে বড় সমস্যা অবৈধকারী এবং রোহিঙ্গা। যারা ভারতে অবৈধভাবে বাস করছে। যারা ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে তাই নয়, জনসংখ্যার বেশি হওয়ার কারণে একের পর এক রাজ্যে আধিপত্য ছড়াতে চাইছে। বিশেষত পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, আসাম, কাশ্মীর। এদিকে মনে করা হচ্ছে, ভারত একটি অপারেশন লঞ্চ করেছে। এর আওতায় ভারতের একাধিক রাজ্য, ছোট ছোট গ্রুপকে টার্গেট করে রোহিঙ্গা এবং অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের ধরপাকড় চলছে। দিল্লি মহারাষ্ট্র গুজরাট এই সমস্ত জায়গায় এই ঘটনা লক্ষ্য করা গিয়েছে। সেই আটক করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে ভারত।
পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের বিএসএফ প্রত্যেকদিন ১০০ থেকে ২০০ জন করে বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে। এতে অবশ্য বাংলাদেশের সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করছে। কিন্তু রোদ করতে পারছে না। আর এই পরিস্থিতিতে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে ভারত বাংলাদেশে সীমান্তবর্তী এলাকায়। একটি বেসরকারি পরিসংখ্যান বলছেন, ভারতের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ অবৈধ বাংলাদেশী ও রোহিঙ্গা রয়েছে। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। আর এই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে ভারত বাংলাদেশে পুশ ইন করছে। যখন ভারত পুশ ইন করছে, এবং সেখানকার সরকার সুর চড়ালেও কিন্তু কিছু করার নেই বিজিবির। এর কারণ পুশ ব্যাক করলে নির্দিষ্ট করে নথি বা প্রমাণের দরকার। আর সেটা দেখাতে পারবে না বাংলাদেশ। পরিসংখ্যান বলছে, মাত্র সাত দিনে বিজিবি ধরেছে ৩০০ থেকে ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেটা যত দিন যাবে, সেই সংখ্যাটা বাড়বে। আর বাংলাদেশের পরিস্থিতি ভয়ানক হবে।
অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিকঠামো নড়বড়ে করে দিয়েছে। প্রথমে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে ভারত। দু হাজার কোটি টাকার ধাক্কা বাংলাদেশের। সরাসরি ধাক্কা লেগেছে বস্ত্র শিল্পে। এর ফলে বাংলাদেশকে সুতো দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। আর সেই সুতো ঘুর পথে বেশি দাম দিয়ে কিনছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, স্থলপথে ভারত স্থলপথে বেশ কিছু পণ্য আমদানি করা বন্ধ করেছে। বছরে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের নিচে নামলো। বাংলাদেশের এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনও কোনও বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আশঙ্কা করছেন, এই মুহূর্তে যে পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে তাতে দেশে দুর্ভিক্ষ না দেখা যায়। কারণ বহু কারখানা বন্ধ হতে গিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে। যে সমস্ত কারখানাগুলো খোলা রয়েছে, সেই সমস্ত কারখানা গুলি শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। এমনিতেই নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী বিএনপি এবং দেশের বহু মানুষ ইউনূসের থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করেছে। এদিকে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ হলে দেশ যে আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে থাকবে না সেটা বলাই বাহুল্য।
Discussion about this post