প্রথমে মিড ডে মিল দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট তলব, এবার সরাসরি এনসিবিসির তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করা হলো, দেওয়া হল তিনদিনের সময়সীমা রাজ্যকে। ওবিসি তালিকাতে ও কারচুপি ফের চলছে তোষণের রাজনীতি। এইসবের মাঝেই এবার বিধানসভায় পাস হয়ে গেল নতুন আইন। যেখানে সংখ্যালঘু কমিশনে থাকবে বাড়তি পদ। রাজ্যের মাননীয়ার নীতিতেই চলছে রাজনীতি।
ফের চাপে পড়লো রাজ্য সরকার। ওবিসি তালিকা নিয়ে বাংলার সরকারকে ভরসা করছেনা দিল্লি। সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব, পাশাপাশি সাপোর্টিং ডকুমেন্ট এবং সার্ভে রিপোর্ট তলব দিল্লির। রাজ্য সরকার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ২০১০ সালে ওবিসি তালিকায় ৬৬টি বর্ণের মধ্যে ১১ টি ছিল মুসলিম সম্প্রদায় ছিল, এবার নয়া ওবিসি তালিকায় দেখা যাচ্ছে ৫১ টি বর্ণের মধ্যে রয়েছে ৪৬ টি মুসলিম বর্ণ। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই দিল্লি তরফ থেকে জানানো হচ্ছে বাংলার সরকারের ওপর আর ভরসা নেই তাদের। কারণ বাংলায় চলছে তোষণের রাজনীতি।
উল্লেখ্য নতুন সংরক্ষিত তালিকা তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য আগামী তিন দিনের সময়সীমার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে। পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর সম্প্রদায় কমিশনের সুপারিশ-সহ সমীক্ষার রিপোর্ট এবং যাবতীয় তথ্য ও সমস্ত সহায়ক নথি চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্যকে। এর আগে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ৭৭টি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে ওবিসির তালিকাভুক্ত করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। গত বছর ২২ মে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি রাজ্যের সব ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। ওবিসি ইস্যুতে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সড়ক হচ্ছে বিরোধীরাও। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী তোপ দাগলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে। কি
এই আবহেই শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু সংশোধনী বিল ২০২৫ পাস করল রাজ্য সরকার। এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সংখ্যালঘু কমিশনে এক জনই ভাইস-চেয়ারপার্সন থাকতেন, কিন্তু নয়া বিল অনুযায়ী দুজন ভাইস-চেয়ারপার্সন রাখার সংস্থান আনা হলো। রাজ্য বিধানসভায় শুক্রবার বিলটি পেশ করেন বিভাগীয় মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বিবৃতি অনুযায়ী,ভাইস চেয়ারপার্সনের একটি বাড়তি পদের অনুমোদন চাইতে বিলটি আনা হয়েছে। এই আইনে ছ’টি ‘রিলিজিয়াস কমিউনিটি’ আছে, মুসলিম, খ্রিস্টান,পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ। সংবিধান বলেছে, কোনও সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভেদাভেদ নয়। এই বিলে নয় জন সদস্য, এক জন চেয়ারপার্সন, দু’জন ভাইস চেয়ারপার্সন করার কথা বলা হয়েছে। কাজের পরিধি বেড়েছে। তাই একটি পদ বাড়ানো হয়েছে। এই কমিশন সংবিধানসম্মত ভাবেই করা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দল বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রস্তাব, এক্ষেত্রে কোনও পাবলিক ফিগারকে এক জন ভাইস চেয়ারপার্সন হিসেবে নিয়োগ হোক। যিনি মুসলিম ধর্মাবলম্বী নন। কারণ লোভের কোনও ধর্ম হয় না। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। শিক্ষার জায়গাটাও দেখতে হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতার ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে। সেই মতো সম্প্রতি বিভিন্ন দফতর এবং সরকারি সংস্থাগুলির কাছে কর্মচারীদের সংখ্যা জানতে চেয়েছিল অর্থ দফতর। এরই মাঝে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নয়া সিদ্ধান্ত।বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে নতুন পদ্ধতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার পথে হাঁটছে সরকার। একটি বেসরকারি সংস্থাকে সেই প্রযুক্তি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফ থেকে। এই ব্যবস্থায় সরকারি কর্মীদের নিজস্ব পোর্টাল ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’-এ ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে হবে। অর্থাৎ, সরকারি কর্মচারীরা ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজেদের কার্যকালের তথ্য জানাবেন। আদালতের নির্দেশে রাজ্যকে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে, এবং সেটি করতে বাধ্য রাজ্য সরকার কিন্তু নতুন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সে সময়টাকে দীর্ঘায়িত করার নয়া পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার।
Discussion about this post