বাংলাদেশের বর্তমান তদারকী সরকার থেকে সেনাবাহীনি এবং পুলিশ প্রাসাশন, সবাই এই দশ মাস ধরে বলে আসছে যে তারা মব ভায়োলেন্স কে সহ্য করবেন না। কিন্তু এই দশ মাসে যে কত মব ভায়োলেন্স হয়েছে তার কোন হিসাব নেই। বড় বড় ঘটনাগুলিই যদিও খবরে আসে কিন্তু কত মব ভায়োলেন্সের যে কোন খবরই হয়নি তা কি সবাই জানে? কিন্তু বড় বিষয় হল এই যে সরকার সেনা পুলিশ সবাই বলছে মব ভায়োলেন্স তারা সহ্য করবেন না। কিন্তু এই দশ মাসে কোথাও এই মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা, কেউ কি নিতে পেরেছে? পারেনি। আজ পর্যন্ত কোন মবের বিচার হয়নি। বর্তমান মব জাস্টিস দেখে যার সব থেকে বেশী হৃদকম্পন হওয়া উচিৎ, তিনি হলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। যিনি গত ৫ই আগস্ট দেশের জনগনকে ধাপ্পা দিয়ে বলেছিলেন যে তিনি দেশের জনগনের জান মালের দায়িত্ব নিচ্ছেন। কিন্তু দেশের জনগন বা তার খুব শুভাকাঙ্খিও বলতে পারবে না যে ওয়াকার বা তার সেনাবাহীনি জনগনের জান মাল রক্ষায় কোথাও কোন ব্যবস্থা নিয়েছে। লাস্ট গত ২২শে মে সেনাবাহীনির হম্বি তম্বির খবর শুনল দেশের জনগন।যদিও সেনা দরবারে কি হয়েছিল তা তো দেখার সুযোগ ছিল না। সেখানে কি হয়েছিল তা শোনানো হয়। আর দেশের জনগন উৎসুক হয়ে থাকেন যে সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধান দেশের এই দারুন পরিস্থিতিতে কি ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ মাঝে মাঝেই এমন খবর প্রকাশ্যে আসতে থাকে যে এই বুঝি সেনাপ্রধান ইউনূসের সরকারকে ফেলে দিয়ে ক্ষমতা নিজের কাছে নিচ্ছেন। এই বুঝি হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনছেন।সেনার তরফ থেকে কি বলা হচ্ছে তাই নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎসাহ থাকে বেশী।তো গত ২২ শে মে সেনার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল মব ভায়োলেন্স আর সহ্য করা হবে না। সেনাবাহীনি কড়া হাতে মব ভায়োলেন্স দমন করবে। এমন কি এনসিপি যখন রংপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা জে এম কাদের সাহেবের বাসায় ভাঙচুর করতে যায়, তার দু-দিন পর এক সেনা কর্তা সার্জিস আলমের সামনেই বলেন শরীরে একবিন্দু রক্ত থাকতে তারা নাকি মব জাস্টিসের নামে ভাঙচুর মারধর অগ্নিসংযোগ সহ্য করবেন না। এখন যারা মব জাস্টিস করেছেন তারা বলতেই পারেন যে, এরকম তো বলা হয়নি যে যার বিরুদ্ধে মব জাস্টিস হচ্ছে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার আগে গনধোলাই জুতা মারা বা জুতার মালা পরিয়ে দেওয়া যাবে না। তাই হয়তো এগুলি করা যাবে। সম্ভবত ১৯ শে জুন সেনাকর্মকর্তা প্রেস ব্রিফিং করে বললেন সেনা কঠোর হাতে মব দমন করছে। যার ফলে এখন আর মব ভায়োলেন্স হচ্ছে না। যখন মব ভায়োলেন্স কম হতে শুরু করল তখন ইউনূস সাহেব পড়লেন বিপদে। কারণ মব না হলে ইউনূসের গদি থাকা মুশকিল। মব হওয়ার পরই তো স্লোগান ওঠে ইউনূস সাহেবকে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই বিদেশ থেকে ফিরেই ইউনূস সাহেব ঐকমত্য কমিশনের এক আলোচনা শেষে বলেন যে বিগত, তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা দ্বায়িত্বে ছিলেন, ঐ নির্বাচনগুলিতে তাদের ভুমিকা তদন্ত করে দেখা হবে। এবং এব্যাপারে ছাত্রদল ইউনূসকে সহয়তা না করলেও বিএনপি ইউনূসের হয়ে এই মব পরিচালনায় সামনে এগিয়ে এসেছে। এখন মজার বিষয় হল ওয়াকার উজ জামান কি ভাবেছেন? তিনি কি এই মব জাস্টিস থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। কারণ এই তদারকী সরকারের যদি সব থেকে কারও উপর বেশী রাগ থেকে থাকে, তো সেই ব্যক্তিটি হলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। ইউনূস সাহেবের বহু সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন সেনাপ্রধান। তাহলে তিনি কি মনে করেন যে ২০২৭ এর মাঝামাঝি পর্যন্ত তিনি র্নিবিঘ্নে তার দায়িত্ব পালন করে যেতে পারবেন। তিনি হয়তো বুঝতে পারছেন না সেনাপ্রধান এবং তার বাহিনীর জন্য কি নিষ্ঠুর পরিনতি অপেক্ষা করছে। নরুল হুদার মত তিনিও হয়তো মব জাস্টিসের হাত থেকে রেহাই পাবেন না।
জনগণের কাছে ধীরে ধীরে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। দেশের অস্থির পরিস্থিতিতে সেনার উপর আর আস্থা রাখতে পারছেনা জনগন। বিগত দশ...
Read more
Discussion about this post