বিপন্নতার মুখে পদ্মাপার। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে বিভিন্ন দেশদ্রোহী সংগঠন দাবি করে সে দেশের জনজীবন আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু আদৌ কি স্থিতিশীল বাংলাদেশ? বর্তমান প্রেক্ষাপট তো অন্য কথা বলছে। সাধারণ নাগরিকের একাংশ দাবি করছে পূর্বোত্তন আওয়ামী লীগ সরকারই ভালো ছিল। তাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে তাহলে বাংলাদেশকে এখন কে বাঁচাবে?
সম্প্রতি সরকারি সফর সেরে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান তার বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্র এর কথা জানতে পেরেই অতিসত্তর দেশে ফেরেন এবং বড় পদক্ষেপ নিয়েছেন বলেই গোপন সূত্রে খবর। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নতুন করে বাংলাদেশে সেনাবিদ্রোহের মাস্টারমাইন্ড লেফটনেন্ট জেনারেল ফাইজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছেন ওয়াকার উজ জামান। অর্থাৎ এবার সরাসরি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করলেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান।
বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অন্দরে এখন কার্যত তোলপার পরিস্থিতি । আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভক্তি রয়েছে। একটি অংশ জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের পক্ষে, একটি অংশ পাকিস্তান ও জামাতপন্থী এবং আরও একটি নিরপেক্ষ, তাঁরা রাজনীতির মধ্যে সেনাবাহিনীকে ঢুকতে দিতে চান না।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সেনার মধ্যে পাকিস্তান ও জামাতের প্রভাব দিনে দিনে বাড়ছে। বাংলাদেশকে কার্যত ইসলামিক দেশে পরিনত করতে উদ্যোত জামাত শিবির। যা একেবারেই মেনে নিতে পারেননি সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান। সেই থেকেই শুরু সংঘাত। বাংলাদেশে পালাবদলের পর সাত মাসের মাথায় অনেকটাই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। এক অনুষ্ঠানে সরাসরি তিনি বলেন, বিগত ৭-৮ মাস অনেক সহ্য করেছি, আর না। তিনি আরও বলেন, আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলবেন না যে আমি সতর্ক করিনি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, কাটাকাটি বন্ধ না করলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে পারে। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরই তোলপাড় পড়ে যায় বাংলাদেশে। আসন্ন বিপদ আঁচ করেন মুহাম্মদ ইউনূস এবং জামাতই ইসলামী। মূলত এরপরই সেনাপ্রধান কে সরানোর ষড়যন্ত্র শুরু হয়। যদিও সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সেনাপ্রধান বড় পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে। যার মধ্যে বড় নাম হল লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফইজুর রহমান। পাশাপাশি আরও কয়েকজন সেনাকর্তাকে নজরবন্দি করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এবার হিজবুত-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী ইসলামী নেতাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে তৎপর, সজাগ ও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
আজ ভোরে রাজধানীর চারটি থানা পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
তিনি ডিউটি অফিসারসহ কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
পথে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে স্থাপিত কয়েকটি চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন এবং দায়িত্বরতদের সঙ্গে কথা বলেন। তাছাড়া তিনি যৌথ বাহিনীর কয়েকটি টহল দলের কার্যক্রম মনিটরিং করেন বলে জানা গিয়েছে।
Discussion about this post