‘আজকের এই অনুষ্ঠানটি… প্রথমতো দুটো বিষয়… এক ১৬ ডিসেম্বর। আমাদের বিজয় দিবস এবং একই সাথে… আপনাদের সাথে বহুদিন ছিলাম। ১৭… প্রায় ১৮ বছর আপনাদের সাথে ..আছ… ছিলাম। বাট আগামী ২৫ তারিখ ইনশ আল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি। সে জন্যই…. সে জন্যই.. আপনাদের সাথে খুব শান্তিতে… শান্তিভাবে, শান্তভাবে আপনাদের সাথে দুটো কথা বলতে চাই। আপনারা প্রবাসে আছেন। প্রবাসীদের কাছে প্রথমেই আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছি। আমাদের যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন… এই আন্দোলনে প্রবাস থেকে বহু প্রবাসী বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এই আন্দোলন সফলতার পিছনে প্রবাসীদের একটি বিশাল ভূমিকা রয়েছে। কাজেই প্রবাসীদের অবদানকে কোনওভাবেই আমরা খাটো করে দেখতে পারি না। কিন্তু আপনাদের সামনে আমি যেই পরিকল্পনাগুলা তুলে ধরেছি… আমাদের আগে কাজ শুরু করতে হবে। আমরা যদি কাজ শুরু করতে না পারি এবং আমরা যদি সকলে দাবি উপস্থাপন করতে থাকি, তাহলে কিন্তু একটা ইনডিসিপ্লিন তৈরি হবে। ফলে আমরা কিন্তু আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব না।
এই আগামী নির্বাচন কোনও এক্সপেরিয়েন্সের বিষয় নয়। এক্সপেরিমেন্টের বিষয় না। এই সুযোগটা আমাদের কাজে লাগাতে হবে, এইটিকে সদ্ব্যবহার করতে হবে। আপনাদের সকলকে … প্রবাসীরা যেরকমন আন্দোলনকে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে, একইভাবে প্রবাসীদের সামনে এখন বিশাল দায়িত্ব হচ্ছে যে সঠিক দলকে নির্বাচিত করতে সহযোগিতা করা। ’
এই বক্তব্য তারেখ রহমানের। বক্তব্য বেশ দীর্ঘ। সেই বক্তব্যের সামান্য কিছু অংশ এখানে তুলে দেওয়া হল। এই বক্তব্য লন্ডনের মাটিতে। জানিয়েছেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর তিনি দেশে ফিরতে চলেছেন। ক্ষমতা থেকে হাসিনার সরে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের জাতীয় রাজনীতিতে তারেককে নিয়ে একটাই প্রশ্ন চরকির মতো ঘুরতে শুরু করে- জিয়া-পুত্র কবে দেশে ফিরবেন? বেগম অসুস্থ অবস্থায় বেশ কিছুদিন বাংলাদেশের এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন একবার শোনা গিয়েছিল, মাকে দেখতে দেশে ফিরতে চলেছেন তারেক। কিন্তু সেই সময় তাঁর নিরাপত্তার একটা ঝুঁকি ছিল। বেগম-পুত্র নিশ্চিত ছিলেন, সেই সময় দেশে ফিরলে সেনা তাকে নিরাপত্তা দেবে না। উলটে বিমানবন্দরে নামার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে নিয়ে সোজা জেলে ঢুকিয়ে দেবে। মনে করা হচ্ছে, কোনও প্রান্ত থেকে তাঁকে দেশে ফেরার সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তাই, সাংবাদিক সম্মেলনের কায়দায় সাহস করে বাংলাদেশে ফেরার দিন-তারিখ পর্যন্ত সব জানিয়ে দিলেন। তারেককে নিয়ে জামায়াত তো কবিতা লিখে ফেলল। কবিতা এরকম – ‘ধানের শীস লন্ডনে, নৌকা আছে দিল্লিতে, দাড়িপাল্লা দাঁড়িয়ে আছে মাতৃভূমির কল্যাণে।’
তারেকের এই ঘোষণার দিনটি কিন্তু হাইলি সাসপিসাস। হাদিকে গুলি করা হয়েছে ২৪ ডিসেম্বর। আর ঠিক পরেই তারেক জানালেন তিনি বাংলাদেশে ফিরতে চলেছেন। এখনও ট্রাভেল পাশ তারেক পেয়েছেন কি না, তা জানা নেই। কিন্তু বাধাটা কি ছিল? বাধা কি এটাই যে বাংলাদেশে ট্র্যাভেল পাশ নিয়ে সেখানে কিছুদিন থাকলেন। যদি মনে করেন পরিস্থিতি তাঁর অনুকূলে নেই, সে ক্ষেত্রে তিনি যাতে আবার লন্ডনে ফিরে যেতে পারেন, তার একটা রাস্তা আগে থেকে তৈরি করে রাখা। সেই রাস্তা তৈরি না হওয়ায় তারেক দেশে ফিরতে পারছিলেন না? বাংলাদেশে দ্বৈত নাগরিকত্ব বৈধ। না কি বাংলাদেশ সেনা তাঁর কাছে বাধা হয়ে উঠেছিলেন। সে কারণে প্রাক্তন সেনার প্রাক্তন কর্মকর্তাদের জন্য কি বৈঠক করেছিলেন তারেক রহমান? সেটা হয়তো বছর শেষ হওয়ার আগেই জানা যাবে।












Discussion about this post