এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অন্দরে সেনাবাহিনীর উপর ভরসা রাখছেন দেশের সাধারণ মানুষ। এ
রকম ভরসা এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে দেখা যায়নি। কারণ এই মুহূর্তে বাংলাদেশকি রক্ষা করতে হলে সেনাবাহিনী ছাড়া আর কারও উপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়। গত চার পাঁচ দিন ধরে বাংলাদেশে গভীর চক্রান্ত চলছে। মোহম্মদ ইউনূস এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান যে যে ষড়যন্ত্র করছেন, তাতে গোটা দেশটা বিপাকে পড়তে চলেছে।এর আগে বহু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বলতে শোনা যায়, মোহাম্মদ ইউনুস কলকাঠি নেরেছিলেন তার জাতিসংঘ কে দিয়ে। আর জাতিসংঘ সেনাবাহিনীকে দিয়ে শেখ হাসিনার পক্ষে জুলাই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মাঠে না নামতে বাধ্য করেছিল, শান্তি রক্ষা মিশনের ডলারের আয় বন্ধের হুমকি দিয়ে। আর এখন দেখা যাচ্ছে,
রাখাইন প্রদেশে মানবিক সহতা পাঠানোর জন্য করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে দিয়েছে বাংলাদেশকে। আর এটি বিপদে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এমনকি যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে আগামী দিনে। কারণ জাতিসংঘকে সামনে রেখে আমেরিকা এই মানবিক করিডোর চাইছে। এমনকি তার মধ্যে দিয়ে আরাকান দের হাতে তুলে দেওয়া হবে অস্ত্র। সেই আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশের বহু মানুষ। কিন্তু এটাই নাকি ষড়যন্ত্র। সমস্ত কিছু জেনে বুঝেই বাংলাদেশকে করিডোর হিসাবে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল, ১১ ই মে মোঃ ইউনুস চুপিসারে পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দরবারে। সেখানে গিয়েই মহম্মদ ইউনুস বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে সরিয়ে দেওয়ার একটি প্রস্তাব নিয়ে আসেন। এমনকি একটি চিঠিও দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতিকে। আর সেই চিঠি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে তিনি বাহিনীর প্রধান দেখা করতে যান বলে খবর। আর সেখানেই আলোচিত হয়, দেশের মানুষ এখনও সেনাবাহিনীর ওপরই আস্থা রাখছে। আর তারপরই আলোচনা করে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া যায়। এমনকি সেই সময় সেনাপ্রধানের আমেরিকা সফর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সফর কাটছাঁট করে দেওয়া হয়। কারণ তিনি দেশ থেকে বেরিয়ে গেলে তার বিরুদ্ধে কু করা অনেক বেশি সহজ ছিল। ফলে তিনি দেশে থেকে পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসেন।
অর্থাৎ এই মুহূর্তে বাংলাদেশের যমুনা এবং সেনানিবাস এর মধ্যে একটি ঠান্ডা লড়াই চলছে। কিন্তু যার বিরুদ্ধে মহাম্মদ ইউনুস ষড়যন্ত্র করছেন, তার সরকারকে গঠনের জন্য সেনাপ্রধানই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিদেশি শক্তিদের দ্বারা চালিত এই সরকার কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধ সামলাতে হবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকেই। বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনাপ্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স সহ বেশকিছু মার্কিন কর্মকর্তা এবং আরো দুটি দূতাবাসের কর্মকর্তা সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এবং তারা স্পষ্ট সেনাপ্রধান কে চাপ দিয়েছেন, যাতে আরাকানদের করিডোর দিতে রাজি হতে। কিন্তু খবর, সেনাপ্রধান রাজি না হওয়ায় একটি রেষারেষি চলছে। কাকে কত তাড়াতাড়ি পদচ্যুত করা যায়! আর এই পরিস্থিতিতে মুহাম্মদ সহযোগী হয়ে উঠেছে পাকিস্তান। এই মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর প্রায় কিছু করার নেই। ফলে এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে একমাত্র বাঁচাতে পারে সেনাবাহিনী। তাই সেনাবাহিনী এখন বাংলাদেশের জনগণের চরম ভরসার জায়গা।
Discussion about this post