গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির অকাল প্রয়াণে বাংলাদেশে আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে সে দেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। ওসমান হাদির মৃত্যুর পরে পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশের পরিস্থিতি গত ২৪ এর জুলাই আন্দোলনের থেকেও এই আন্দোলন ভয়াবহ রূপ নেয় আগুনে পোড়ানো হয় একের পর এক সরকারি সম্পত্তি শুধু তাই নয় গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ অর্থাৎ সংবাদ মাধ্যম উত্তেজিত জনতার রোসের মুখে পড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার নামক সে দেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম। তবে কি বাংলাদেশের পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস? প্রশ্ন উঠছে বাংলাদেশ এবং দেশ ছাড়িয়ে বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এই অবস্থায় গতকাল মধ্যরাতেই বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে জরুরী বৈঠকে বসেন সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। তবে কি বাংলাদেশে জারি হতে পারে জরুরি অবস্থা!
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক চরম অস্থিরতা ও ভারত-বিরোধী উত্তেজনার মাঝে টেলিফোনে জেনারেল ওয়াকার সরাসরি যোগাযোগ করে বসলেন ভারতের সেনাপ্রধানকে। ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে বাংলাদেশে অবস্থানরত সমস্ত ভারতীয় সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোরালো আশ্বাস দিয়েছেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। শুধু তাই নয় এই ঘটনায় জড়িত সমস্ত মানুষকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও ভারতকে আশ্বস্ত করেছে। টেলিফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ভারতের সেনাপ্রধান সরাসরি সেদেশের সেনাপ্রধানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সংখ্যালঘু হিন্দুকে হত্যার ঘটনা ভারত কড়া নজরের মধ্যে রেখেছে। এবং বাংলাদেশ যদি কোনরকম ভারত বিদেশী ক্রিয়াকর্ম করে থাকে তাহলে ভারত যে ছেড়ে কথা বলবে না সে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছেন।ওসমান হাদির মৃত্যু এবং বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় যখন নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে, তখন সেনাপ্রধানের এই সরাসরি প্রতিশ্রুতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর করে এসেই এক বৈঠক ডাকেন সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান সহ নিরাপত্তা প্রধান অজিত ডোভাল। ভারতের গোপনে এই বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় এবং এখান থেকেই ভারত যে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ গভীর নজরে রেখেছে তা পরিষ্কার হয়ে যায়। এদিকে মহম্মদ ইউনূস প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। হিন্দু যুবক হত্যা এবং সংবাদপত্রের অফিসে হামলার ঘটনায় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে ইউনুস কোনমতেই নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে করাবে না বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি তারই পেক্ষাপট মাত্র। আসলেই বাংলাদেশকে আবারো অশান্তির অরাজকতায় ডোবাতে চাইছে ইউনূস। ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে যে ধ্বংস নীলা চলছে তাতে নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করছে সে দেশের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনূস। তা নিয়েই কি খুব জন্মেছে সেনাপ্রধান ওয়াকারের মনে তাই কোন উপায় দেখতে না পেয়ে সরাসরি ফোন করে বসলেন ভারতের সেনাপ্রধান উপেন্দ্র ত্রিবেদীকে।
বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতি মনে করিয়ে দিচ্ছে ২০২৪ জুলাই মাস হাসিনার বাংলাদেশ ছাড়া সময় বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি হয়েছিল আজকে ২০২৫ এ দাঁড়িয়ে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল কিছু ছবি তারই প্রমাণ দেয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে আন্দোলনের নামে দেদার লুট চালাচ্ছে সে দেশের উত্তপ্ত মৌলবাদী জনগণ। ভাঙচুর করে নষ্ট করা হচ্ছে সরকারি সম্পত্তি তাতে কোন নজরদারি দিচ্ছে না প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস। বরং নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। এখান থেকেই প্রশ্ন উঠছে এ কেমন প্রধান উপদেষ্টা যে নিজের দেশকে রক্ষা করতে পারেনা দেশের গর্বকে নিজে দায়িত্ব নিয়ে মাটিতে মিলিয়ে দেয়।রাজনৈতিক মহলের ধারণা, অস্থিতিশীল পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। আর এই ষড়যন্ত্রের মূল কান্ডারী হচ্ছে শান্তিতে নোবেল প্রাপ্ত মোহাম্মদ ইউনূস।এই টালমাটাল অবস্থায় ভারতীয় সম্পত্তি রক্ষায় সেনাপ্রধানের এই কঠোর অবস্থান ইউনূস প্রশাসনের জন্য এক বিশেষ বার্তা বহন করছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তবে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ইউনুস এবং সেনাপ্রধানের দূরত্ব যে আবারও তৈরি হয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে।সেনাপ্রধান চাইছেন দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা রাখতে আর হাদির মৃত্যু পরে পরে সেনাপ্রধান সাংবাদিক সম্মেলন করে দেশ ও জাতির উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন-‘এই চরম পরিস্থিতির মধ্যে সবাইকে শান্ত থাকতে হবে হাদির মৃত্যুতে যে বা যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার হবে’ কিন্তু কে কার কথা শোনে! ইউনুস ও তার মৌলবাদী বাহিনী দেদার লুট করে চলেছে সরকারি জিনিস এবং ধ্বংস করছে একের পর এক ঐতিহ্য। তাতেই বিজায় চটেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার। তাই তড়িঘড়ি আর অপেক্ষা না করে ভারতের সেনাপ্রধানের সাথে যোগাযোগ করে তিনি গোপনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের সেনাপ্রধানকে জানানো এবং সে দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের রক্ষা করার দায়িত্ব নেওয়া প্রসঙ্গ তুলে আদতেই ইউনূসকে যে চাপে ফেলতে চলেছে তা বোঝাই যাচ্ছে। এখন সর্বশেষ দেখার বিষয় সেনাপ্রধান গোপনে ইউনূস বিরোধী অভিযান চালিয়ে কাদের কাদের শায়েস্তা করতে চলেছেন।












Discussion about this post