বাংলাদেশের দ্রুত গ্রেফতারের পথে সেনাপ্রধান! তবে কি এবার সংবিধান মুছে দিয়ে সিন্ডিকেট কাজ করতে শুরু করে দিয়েছে? সেনাপ্রধানের পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি কে তার পদ থেকে সরিয়ে, বন্দী করতে চলেছে ইউনুস প্রশাসন? পাশ হয়ে গেল ইউনুসের ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট! কি হতে চলেছে বাংলাদেশের অন্দরে ?
গতবছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ছন্নছাড়া বাংলাদেশের পরিস্থিতি। এবার মহম্মদ ইউনূসের নিশানায় সরাসরি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান। দেশ ছুড়ে হঠাৎ করেই কেন সেনাপ্রধানের গ্রেফতারী প্রসঙ্গ উঠে এলো , যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বাংলাদেশের সংবিধানকে মুছে দিতে একের পর এক পরিকল্পনা সাজাতে শুরু করেছে মহম্মদ ইউনুস। আর তার একটি অংশ হিসেবে দেশের সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার পরিকল্পনাও তৈরি করে ফেলেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। তবে সেই পরিকল্পনা একেবারেই নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে ইউনূসের ষড়যন্ত্রের ব্লু প্রিন্ট!
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ক্যান্টনমেন্টে উত্তেজনার পর থেকে থমথমে পরিবেশ ক্যান্টনমেন্ট চত্বরে! সম্প্রতি সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানকে তার পথ থেকে সরানোর জন্য প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস যে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল, এবার তৎপর সেনানিবাস। সরকারের এই পরিকল্পনাকে ঠেকাতে তড়িঘড়ি বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান বৈঠকে বসেন এবং তারা সফল হন। কিন্তু এরপর থেকেই সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রপতি ভবনে সে দেশের রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়। এছাড়াও পাকিস্তানি এজেন্ট যারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কু করার চেষ্টা চালাচ্ছে সনাক্ত করতেও তৎপর তিন বাহিনী।
সেনাবাহিনীর তৎপরতা এখন কোন ঠাসা পাকিস্তানি পন্থী সংগঠন গুলি। মূলত দেখা গিয়েছিল বাংলাদেশ জুড়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ ইউনুস ও তার উপদেষ্টা মহল একটি গভীর ষড়যন্ত্রের সব কষা ছিল। ১০ই জুলাই, জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র এর মাধ্যমে সংবিধানকে মুছে দিয়ে রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান কে তাদের পথ থেকে সরিয়ে দিয়ে, দেশে অন্য ক্ষমতা স্থাপন করে অর্থাৎ জঙ্গি ক্ষমতা দেশজুড়ে বহাল রেখে বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যত ছিল ইউনুস প্রশাসন।
কিন্তু ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আগেই রাষ্ট্রপতিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আর রাষ্ট্রপতি শুক্র সালে সেই চিঠির বার্তা সেনাপ্রধানের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন। এরপরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান তৎপর হয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন এবং দেখা করে সু কৌশলে তারা প্রধান প্রতিষ্ঠার এই ষড়যন্ত্র কে প্রতিহত করতে সক্ষম হন। এরপরই ষড়যন্ত্রের অংশীদার হিসেবে কামরুল হাসানকে বরখাস্ত করা হয়। এবং তার অনুগামীদের হেফাজতে রাখা হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য,গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় সেনা প্রধান ও সেনাবাহিনীর নিরব ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে নানা রকম প্রশ্ন উঠে এসেছে, কিন্তু বিশ্লেষকরা বলছেন সেনাপ্রধান ক্ষমতা নিয়ে দেশে থাকতে চান নি। অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয়ের কারণে নিষ্ক্রিয় থাকতে হয়েছে সেনাবাহিনীকে। কিন্তু যখন জুলাই আন্দোলনের সমস্ত পরিকল্পনা পূর্বপরিকল্পিত ছিল অন্তর্বর্তী সরকারের সেখানে সেনাপ্রধান একপ্রকার ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
এরপর, মুহাম্মদ ইউনূসের শাসনকাল শুরু হওয়ার পরই দেখা গেল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেওয়া হয়েছিল, সেই ক্ষমতা বারেবারে বৃদ্ধি করে আরও দুই মাসের জন্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। অথচ সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে বাংলাদেশের পুলিশবাহিনীর হাত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র কেঁড়ে নেওয়া হল। অর্থাৎ পুলিশের ক্ষমতা এবং সাহসিকতাকে মাটিতে মিশিয়ে দিতে উদ্যোগী হল ইউনূস সরকার। এখন প্রশ্ন উঠছে সেনাবাহিনীর হাতে ক্ষমতা আছে, তাহলে বাংলাদেশের মানুষ নিরাপদ। তবে বিশ্লেষকরা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন কারণ, মুহাম্মদ ইউনূস এবং তাঁর সহযোগীরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আড়াআড়ি বিভক্ত করে দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করে দিয়েছে। আর মোহাম্মদ ইউনুসের এই পরিকল্পনা আর কতটা দীর্ঘায়িত হয় এখন সেদিকেই নজর বিশেষজ্ঞ মহলের।
Discussion about this post