জুলাই গণ অভ্যুত্থানে দাবিদার বহু নেতা যারা মব সৃষ্টি করছেন, তারা প্রকাশ্যে প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে পুলিশ, সেনাবাহিনীকে চ্যালেঞ্জ করছেন, যে ক্ষমতা থাকলে তাদের ধরা হোক। অন্যদিকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে একশন নিয়েছে পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন হানিফ মিঞাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু এটা আই ওয়াশ নয় তো, প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে মব সৃষ্টিকারী একাধিক মানুষ যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, তাতে মনে হচ্ছে তারা চ্যালেঞ্জ করছেন। তবে কি জুলাই যোদ্ধাদের কোপে কুপোকাত হয়ে গেলেন মহম্মদ ইউনূস?
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেওয়া বলে দাবিদার একজন লিখছেন, আমি ধানমন্ডির ৩২ ভেঙেছি। আমি নুরুল হুদাকে জুতো মেরেছি। আমি জসিম স্বৈরাচারীর যেকোন কুলাঙ্গারকে পেলে জুতো মারবো। সাহস থাকলে আমাকে মব বলে গ্রেফতার করুক। তিনি আবার নিজেকে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের যোদ্ধা বলে দাবি করেন। তিনি আবার এর একটি পোস্ট করেছেন। তিনি সেখানে লেখেন, যদি বলে মব, তাহলে ধানমন্ডির ৩২ ভাঙ্গা হল মব। আর একটি হল হাসনাতের নেতৃত্বে শাহাবাগে। ইন্টিরিমের সুশীল দন্ড তখন জাগ্রত হয়নি, কারণ মব করেছে ইন্টিরিমের আপনা লোকেরা। এখন যেই দেখেছে মব করেছে বিএনপি নেতারা, সেই ইন্টিরিম সুশীল দন্ড জাগ্রত হয়ে গিয়েছে। এতদিন মবের জন্য কাউকে গ্রেফতার করেনি। কিন্তু এবারে গ্রেপ্তার হলো ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের এক নেতা।
অন্যদিকে আরও একজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যোগ দেওয়া বলে দাবি করে ফেসবুকে লিখছেন, যারা প্রত্যেকে মিলে লড়াই করেছেন, তারা কেউ কেউ উপদেষ্টা হয়েছেন, কিন্তু কেউ কেউ আবার আমাদের মতই সাধারণ হয়েই জীবন যাপন করছেন। যদিও আমরা কোনও সুযোগ নিতে চাই না।
এখানে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন।, এরা মব সৃষ্টি করলেও কিছু কিছু কথা সত্যি বলেছে। এখনও পর্যন্ত এনসিপির বহু নেতা মব সৃষ্টি করলে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়নি সরকার। যেই এক্ষেত্রে বিএনপি জড়িত, তখনই একশন নেওয়া হল। এখানে আরও প্রশ্ন উঠছে, মব সৃষ্টি করা হচ্ছে বাংলাদেশে। এটাই বড় সত্য কথা। কার জমানাতে হচ্ছে, সেটার থেকেও উচিত, মব সৃষ্টিকারীদের যোগ্য জবাব দেওয়া প্রশাসনের। বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে বিএনপি দাবি করছে, আওয়ামী লীগের আমলে মব হয়েছে। অর্থাৎ দোষারোপ পাল্টা দোষারোপে মেতেছে বাংলাদেশ। এখন দেখার, শেষমেষ কি পরিস্থিতি তৈরি হয়।
Discussion about this post